পরিশ্রমের স্বীকৃতি সবসময়ই আনন্দের—আর সেই আনন্দেই ভরপুর ছিল ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ, যেখানে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এ বছরের টেলি আকাদেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছোটপর্দার বহু তারকা এবং নেপথ্যের শিল্পীদের সম্মান জানানো হয়। ক্যামেরার পিছনে পরিশ্রম করে যাঁরা একটি অনুষ্ঠানের সাফল্য গড়ে তোলেন, তাঁদেরও তুলে ধরা হয় মঞ্চে। এ দিন সিনে টেকনিশিয়ানস কল্যাণ তহবিলে দেওয়া হল পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের হাতে যার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রেক্ষাগৃহে তারকাদের উপস্থিতিতে যেন উৎসবের আবহ। শাড়ি আর মানানসই গয়নায় সেজে হাজির হয়েছিলেন কোয়েল মল্লিক, ইমন চক্রবর্তী, তিয়াসা লেপচা ও সোহেল দত্ত। এক ফ্রেমে দেখা গেল সোনামণি সাহা এবং প্রতীক সেনকেও। শুধু পুরস্কার নয়, দর্শকের চোখ ছিল পারফরম্যান্সেও—সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশেষ পরিবেশনা, সঙ্গে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তিয়াসার নাচে জমে উঠেছিল অনুষ্ঠান। অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং মল্লিকা মজুমদার জানালেন, এই অনুষ্ঠানের জন্য সকাল থেকেই তাঁদের প্রস্তুতি চলছিল।
টেলিভিশনের মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আজকের প্রজন্মের কাছে ইতিহাস পৌঁছতে টেলিভিশনের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, নতুন স্বাদের ধারাবাহিক তৈরি হচ্ছে এবং শিল্পীরা তাঁদের দক্ষতায়ই এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রয়াত অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয় ‘মরণোত্তর সম্মান’, আর জীবনকৃতি সম্মান উঠল লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে। সঞ্চালনায় ছিলেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য ও জুন মালিয়া।
মোট ৪১টি বিভাগে দেওয়া হয় পুরস্কার। প্রিয় জুটি থেকে সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রিয় পরিবার থেকে নন-ফিকশন শো—সব ক্ষেত্রেই সম্মানিত হয়েছেন ছোটপর্দার তারকারা। নন-ফিকশন অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা, নির্দেশনা এবং নেপথ্যের কারিগরদেরও আলাদা ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘উজিকে নয়, ‘জোয়ার ভাঁটা’র নায়িকাকে দেখলাম আজ!’ দিদিকে বাঁচাতে বাইকে করে উজির ধামাকা এন্ট্রি! পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে নিশাকে উদ্ধার! ‘জোয়ার ভাঁটা’তে উজির সাহসী সিদ্ধান্ত বাঁচল ঋষি-নিশা দু’জনেই! আপনাদের কেমন লেগেছে এই চমক?
সেরা জুটির মধ্যে স্থান পেল তটিনী–পরশুরাম, স্বতন্ত্র–কমলিনী, ঝাঁপি–সৌরভ, লাজবন্তী–অনুভব, নিশা–উজি, এভি–কথা এবং নীল–লহরী। সেরা খলনায়িকা হয়েছেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশাম্বী চক্রবর্তী। আর প্রিয় মেয়ের পুরস্কার উঠল দিতিপ্রিয়া রায়ের ঝুলিতে। কে কোন বিভাগে পুরস্কার পেলেন—তার পূর্ণ তালিকা সামনে আসছে একে একে।
