দশম শ্রেণির ছাত্রী তনিষ্কা তিওয়ারি এখন ছোটপর্দায় ‘কুসুম’ নামেই বেশি পরিচিত। স্কুলের পড়াশোনা আর অভিনয়ের ব্যস্ততার মাঝেও সে নিজের সময়টা দারুণভাবে সাজিয়ে নিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা, আর এরই মধ্যে চলছে প্রি-বোর্ড। তবু চাপকে নিজের মতো করেই সামলাচ্ছে এই খুদে অভিনেত্রী।
তনিষ্কা জানায়, পরীক্ষার সময় শুটিং বাদ নয়। বরং এখন সে রাতেই শুটিং করছে এবং পরদিন সকালে নিয়ম করে স্কুলে যাচ্ছে। তীব্র ক্লান্তির মাঝেও দিনটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে সে। তার মতে, এতদিনে সবটাই রুটিনের মতো হয়ে গেছে, তাই আলাদা করে সমস্যা মনে হয় না।
পড়াশোনার প্রস্তুতিও চলছে নিজের ধাঁচে। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সে পড়তে বসে যায়। আবার পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি পৌঁছে যায় শুটিং সেটে। শটের ফাঁকে ফাঁকে বই খুলে পড়ে নেওয়াই তার অভ্যাস। ব্যস্ত সময়সূচির মাঝে সে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমাতে পারে, তবুও মন খারাপ নয় তার।
কারণ তনিষ্কার স্বপ্ন অনেক বড়। ছোট থেকেই নায়িকা হওয়ার ইচ্ছে তার মনে। তাই এই কর্মব্যস্ত জীবনকে সে লক্ষ্যপূরণের প্রথম ধাপ হিসেবেই দেখে। স্কুল আর শুটিং—দুটোই সমান গুরুত্ব দিয়ে সামলাতে পেরে সে নিজেই গর্ব অনুভব করে।
আরও পড়ুনঃ জিতুর জুতোয় পা গলাচ্ছেন রণজয়, উঠেছিল গুঞ্জন তাতেই অভিনেতাকে বয়কটের দাবি ওঠে! “মানুষ বয়কট করলে করবে, সেখানে আমার কিছু করার নেই”— বি’স্ফো’রক অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু!
ভবিষ্যৎ নিয়েও বেশ পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে কুসুমের। মাধ্যমিকের পর ‘হিউম্যানিটিজ’ নিয়ে পড়তে চায় তনিষ্কা। মনোবিজ্ঞান আর সমাজবিজ্ঞান তার পছন্দের বিষয়। পাশাপাশি পরবর্তীতে ‘ফিল্ম স্টাডিজ়’ নিয়েও পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। নিজের সপ্নের পথে এগোতে তাই কোনও ক্লান্তিই তাকে থামাতে পারছে না।
