জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ভাবতেই পারিনি আমরা পুরস্কার পাব”— টেলি একাডেমিতে সেরা জুটি সম্মান জিতে কী বললেন শ্রুতি–আরাত্রিকা? পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর দু’অভিনেত্রী কী বার্তা দিলেন দর্শকদের জন্য?

টেলিভিশনের দুনিয়ায় পুরস্কার মানে শুধু সম্মান নয়, শিল্পীর প্রতি দর্শকের ভালোবাসারই স্বীকৃতি। আর এমন স্বীকৃতির রাতেই পুরো টলিপাড়া তাকিয়ে থাকে—কে পেল, কেন পেল, আর কার হাতে উঠল বছরের সেরা সম্মান। ঠিক এমন এক জমকালো সন্ধ্যার সাক্ষী ছিল শহরের ধনধান্য অডিটোরিয়াম, যেখানে হাজির ছিলেন ছোট পর্দার এক ঝাঁক তারকা। মঞ্চে আলো ঝলমলে মুহূর্ত, আর আসনভর্তি দর্শকদের প্রত্যাশা—সব মিলিয়ে দিনটি যেন হয়ে উঠেছিল টেলিপাড়ার উৎসব।

সেই সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাটা’। ধারাবাহিকটি শুরুর পর থেকেই দর্শকদের চোখে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। বহুদিন পর ছোট পর্দায় শ্রুতি দাসকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ যেমন ছিল, তেমনই আরাত্রিকা মাইতির স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ও জয় করেছে দর্শকদের মন। তাই অনুষ্ঠান চলাকালীন যখন তাদের নাম মনোনয়নের তালিকায় ঘোষণা হয়, তখন থেকেই অডিটোরিয়ামে চাপা উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

অবশেষে ঘোষণা হতেই দেখা যায়, সেরা জুটি হিসেবে টেলি একাডেমি পুরস্কার উঠেছে শ্রুতি ও আরাত্রিকার হাতে। মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণের সময় তাদের চোখে ছিল বিস্ময়—কারণ দু’জনেই পরে জানিয়েছেন, এই সম্মান পাওয়ার কথা তারা ভাবতেও পারেননি। দর্শকের ভালোবাসা যে কতটা গভীর, তা যেন এই পুরস্কার আরও একবার মনে করিয়ে দিল তাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে পুরস্কার তুলে দেন দু’জনের হাতে, যা মুহূর্তটিকে আরও বিশেষ করে তোলে।

স্ত্রীর এই সম্মান পাওয়া নিয়ে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের প্রতিক্রিয়াও নজর কাড়ার মতো। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্টই বলেন—“দু’জনেই অসম্ভব ভালো অভিনয় করে। অনেক আগেই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল ওদের।” দর্শকদেরও মত একই। বিশেষত শ্রুতির খলনায়িকার চরিত্রটি ধারাবাহিকের শুরু থেকেই আলাদা নজর কেড়েছে। চরিত্রের জন্য যতটা তীক্ষ্ণতা দরকার, শ্রুতি ততটাই দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরছেন, যা তাঁকে ভবিষ্যতে আরও সম্মান এনে দেবে—এমনটাই আশা করছে টলিপাড়া।

তবে আপাতত উদযাপনের আবহেই রয়েছেন শ্রুতি দাস ও আরাত্রিকা মাইতি। পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর দু’জনেই জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি তাদের নতুন উদ্দীপনা দেবে। দর্শকের ভালোবাসা আর এই পুরস্কারের ভার দু’টোই তারা সযত্নে সামলে রাখতে চান। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা দুই অভিনেত্রীর এই সাফল্য শুধু তাদের নয়—‘জোয়ার ভাটা’-র পুরো টিমের পরিশ্রমেরই প্রতিফলন। এখন প্রশ্ন একটাই—এই জুটি কি আগামী দিনেও আরও বড় কোনও পুরস্কারে সবার নজর কেড়ে নেবে?

Piya Chanda