বাংলা সংগীত জগতের পরিসরে এমন কিছু নাম আছে যাদের উপস্থিতি নিজেই এক আলাদা অধ্যায় তৈরি করে। আধুনিক বাংলা গান, রবীন্দ্রসংগীত, রাজনৈতিক আন্দোলন—সব ক্ষেত্রেই কিছু ব্যক্তিত্ব সময়কে ছাপিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সেই পরিচিত মুখকে ঘিরেই নয়া আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতীয় বাংলা সংগীতে কবীর সুমন এমন এক নাম, যিনি কণ্ঠ, কলম, সুর আর চিন্তায় বারবার নতুন দিশা দেখিয়েছেন। গায়ক, গীতিকার, গদ্যকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য—বহুমুখী প্রতিভার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি তিনি। ২০০০ সালে বাংলাদেশি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে বিয়ে করার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তাঁর ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের হাত ধরে বাংলা পপ ও আধুনিক সংগীতে নতুন যুগের সূচনা হয়।
এই বহুমুখী জীবনের মাঝেই সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে নিজের অনুভূতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সুমন। তিনি বলেন—“আমার মধ্যে কোনও আনহ্যাপিনেস নেই, যেটুকু দুঃখ রয়েছে সেটা নিজেকে নিয়ে।” দর্শকে মনে একটাই প্রশ্ন ঠিক কী নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন তিনি?
সুমন জানান, তাঁর দুঃখের উৎস অন্য কেউ নয়, বরং নিজেই। বিশেষ করে কিংবদন্তি শিল্পী শ্যামল মিত্রের গান তিনি শুনলে মনের ভিতর কষ্ট তৈরি হয়। কারণ তাঁর নিজের ভাষায়—“বাপের জন্মে আমি শ্যামল হতে পারব না।”
আরও পড়ুনঃ “অরিজিতের সঙ্গে নাম জড়ালেও পেশাজীবনে একটুও প্রভাব পড়েনি, ব্যর্থতার দায় আমারই, যে স্ট্রাগল অরিজিৎ করেছে সেই স্ট্রাগল আমরা করতে পারিনি” — কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন সংগীত শিল্পী রূপরেখা বন্দ্যোপাধ্যায়?
তিনি আরও দাবি করেন, নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে তিনি বরাবরই সচেতন এবং সেই কারণেই কোনও অপ্রাপ্তি তাঁর নেই। তবে শ্যামল মিত্রের মতো উচ্চতার শিল্পী হতে না পারার হতাশা আজও তাঁকে নাড়া দেয়। সুমনের এই সোজাসাপ্টা আত্মস্বীকারোক্তি আবারও প্রমাণ করল—শিল্পীর সৎ অনুভূতিই তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়।
