জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

একেই বলে প্রফেশনালিজম!লিভার SGPT ৪১৬, ভয়াবহ দুর্বলতা–বমিভাব, শরীর প্রায় ভেঙে পড়ার জোগাড়… তবু স্টুডিওতে হাজির সৌমিতৃষা কুন্ডু! এত খারাপ অবস্থাতেও ‘কালরাত্রি ২’-এর ডাবিং সারলেন অভিনেত্রী! এখন কেমন আছেন তিনি?

বিনোদন জগতকে আমরা বাইরে থেকে যতটা ঝলমলে দেখি, এর ভিতরে ততটাই চাপ, পরিশ্রম আর লুকোনো সংগ্রাম থাকে। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে কাজ করলেও পেছনে শিল্পীরা লড়াই করেন শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক চাপ, সময়সীমা—অনেক কিছুর সঙ্গে। তাই এই জগতের প্রতিটি সাফল্যের পিছনে থাকে অগণিত ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম, যা সাধারণ দর্শকের চোখে ধরা পড়ে না।

এই কঠোর পরিশ্রমী অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম সৌমিতৃষা কুন্ডু। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় শুধু জনপ্রিয়তাই এনে দেয়নি, অনেকের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ছোটপর্দার দর্শককে হাসি, কান্না, আবেগ—সবটাই তিনি উপহার দিয়েছেন নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে। আর সেই কারণেই তাঁর অনুরাগীদের সংখ্যা দিন দিন শুধু বেড়েছে।

কিন্তু দর্শকদের বিনোদন দিতে দিতে নিজের শরীরের সঙ্গে লড়াই যে কতটা কঠিন, তার নিদর্শন মিলল আবারও। সাম্প্রতিক সময়ে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছেন সৌমিতৃষা। চিকিৎসকের পরীক্ষায় জানা যায়, তাঁর লিভারের SGPT মাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৬, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এত উচ্চ মাত্রায় সাধারণত মাথা ঘোরা, বমিভাব, দুর্বলতা—এসব সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু অসুস্থতা তাঁকে থামাতে পারেনি।

তীব্র শারীরিক দুর্বলতার মধ্যেও কাজ বন্ধ না করে তিনি পৌঁছে যান স্টুডিওতে। সোমবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়—স্টুডিওতে বসে কানে হেডফোন পরে তিনি ব্যস্ত ‘কালরাত্রি ২’-এর ডাবিংয়ে। মুখে হালকা ক্লান্তি থাকলেও চোখে মুখে ফুটে উঠেছে কাজের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা। অসুস্থতার মাঝেও যে তিনি নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যান না, সেটাই যেন এই ছবিগুলোতে আরও স্পষ্ট।

ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী নিজেও লিখেছেন—“আমার লিভার SGPT ৪১৬, কিন্তু আমিও হাই ভোল্টেজ ৪৪০ ভোল্ট!” নিজের স্বভাবসুলভ রসিকতার মাধ্যমে অসুখকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি ভক্তদের বড় খবরও দিয়েছেন—‘ডাবিং শেষ। কালরাত্রি ২ আসছে খুব শিঘ্রই!’ নতুন সিজনের অপেক্ষায় এখন আরও উত্তেজিত তাঁর অনুরাগীরা।

Piya Chanda