জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘ওর মধ্যে বিবেকটা কাজ করে যে কতটুকু শুনবো আর কতটুকু না, বিবেক-শিক্ষিতা বলেই এগোচ্ছে!’ শিরিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জিতু! সমালোচনার আবহে অভিনেতা করলেন জোরালো সমর্থন! নতুন অপর্ণার প্রথম পর্বের পর, জুটিতে অভিনয় নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ (Chirodini Tumi Je Amar) নতুন অপর্ণাকে ঘিরে বিতর্ক যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখনই পরিস্থিতিতে যেন নতুন মাত্রা যোগ করলেন জিতু (Jeetu Kamal)। প্রথম পর্ব সম্প্রচার হওয়ার পর তিন দিন শিরিন পালের (Shirin Paul) সঙ্গে শুটিং করে তিনি যে আনন্দিত ও আশাবাদী, সেই কথাই নিজের সমাজ মাধ্যম পোস্টে খোলাখুলি জানিয়েছেন। গোটা বিতর্কের ভিড়ে শিল্পীর এই সহজ, নির্ভেজাল মন্তব্য যেন অন্যরকম স্বস্তির হাওয়া এনে দিল। বদলে যাওয়া চরিত্র নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল তো আছেই, কিন্তু জিতুর বক্তব্যে স্পষ্ট যে নতুন সহ-অভিনেত্রীকে নিয়ে তাঁর আস্থা বেশ দৃঢ়।

প্রসঙ্গত, দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) বিদায়ের পরে ঠিক কে অপর্ণার চরিত্রে আসবেন, এই প্রশ্নে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টেলিপাড়া সরগরম। কত নাম উঠল, কতকেই দর্শক ভাবলেন সম্ভাব্য মুখ, কিন্তু শেষমেশ আলো এসে থামল শিরিন পালের ওপরেই। মঞ্চ থেকে উঠে আসা এই তরুণীকে নিয়ে প্রথমে খুব বেশি আলোচনা না হলেও, লুক-টেস্টের পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। প্রযোজনা সংস্থা নাকি তাঁর উপস্থিতি আর স্বাভাবিকতার ওপর ভরসা রেখেই তাঁকে চূড়ান্ত করেছে, এমনটাই ভিতরের খবর।

তবে, শিরিনের পথচলার গল্পটাও আলাদা করে বলার মতো। ঝাড়গ্রামে বেড়ে ওঠা এই অভিনেত্রী ছোটবেলা থেকেই মঞ্চের চেনা মুখ। পরিবারের পরিচালনায় চলা ‘ঝাড়গ্রাম কথাকৃতি’র সুবাদে শিল্পের ভেতরেই বড় হয়েছেন তিনি। পরে পড়াশোনার টানে কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে থিয়েটারের চর্চা ও এখন মাস্টার্স। কাজের প্রতি তাঁর মনোযোগ আর শেখার আগ্রহই নাকি পরিচালক-অভিনেতাদের নজর কেড়েছে। যাঁরা তাঁর সঙ্গে আগে কাজ করেছেন, তাঁদের কাছে শিরিনের মনোযোগী স্বভাব কোনও নতুন খবর নয়।

এই জায়গাতেই জিতুর পোস্টটা যেন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি লিখেছেন, দর্শকই বিচার করবেন। কারও কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজেদের চোখে দেখে মত গড়ে তোলাই সঠিক। একইসঙ্গে নতুন সহ-অভিনেত্রী হিসেবে শিরিনের প্রশংসায় তিনি অকুণ্ঠ। তাঁর কথায়, মাত্র তিন দিনেই বুঝেছেন যে শিরিন দ্রুত কাজে মানিয়ে নিতে পারে, নির্দেশনা ধরতে পারে আর নিজের বিবেচনাও বজায় রাখে। তাঁর কথায়, “বিবেক-শিক্ষিতা, তাই ওর মধ্যে একটা বিবেক কাজ করে যে কতটুকু শুনবো আর কতটুকু না।” নতুন শুরুর পথে একজন শিল্পীর কতটা শুভাকাঙ্ক্ষা প্রয়োজন, সে কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

‘নীচে টেনে নামানোর চেষ্টা করে মন ভেঙে দেবেন না’, এই আবেদনটুকু যেন শুধু সহ-অভিনেত্রীকেই নয়, পুরো দলের মনোভাবকেও তুলে ধরে। তাই এখন প্রশ্নটা আর আগের মতো জল্পনায় আটকে নেই যে নতুন অপর্ণা কে হলেন, তা ইতিমধ্যেই দর্শক পর্দায় দেখে ফেলেছেন। এখন বরং নজর সেদিকেই যে চরিত্রটি কোন নতুন ছন্দ তৈরি করতে পারে। বিতর্কের মধ্যেও নির্মাতার ভরসা, অভিনয় নিয়ে শিল্পীর আন্তরিকতা আর দর্শকদের উৎসাহ মিলে ধারাবাহিকটি সামনের দিনগুলোতে কোন পথে হাঁটে, সেটাই এখন দেখার।

Piya Chanda