বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ‘অনামিকা চক্রবর্তী’কে (Anamika Chakraborty) এখন আর নিয়মিত পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু তাঁকে নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল আজও কম নয়। এত বছর কাজ করেও মাঝেমধ্যে তাকে দীর্ঘ বিরতিতে থাকতে হয়েছে, এই কথা তিনি নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন। কাজের টানাপোড়েন, চরিত্রের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তন, সব মিলিয়েই তার পথটা কখনওই মসৃণ ছিল না। অনামিকা নিজেও বোঝেন যে ইন্ডাস্ট্রির সময় সবার সমান যায় না।
কখনও কাজের পর কাজ আসতে থাকে আর বাড়তি সময় থাকে না, আবার কখনও ফাঁকাই থেকে যায় সারাদিন। এবারও তাই, এই দীর্ঘ বিরতির পরে জি বাংলার ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে একটি ছোট ক্যামিও করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সেখানে একসময় মুখ্য চরিত্র করতেই দেখা যেত তাঁকে, সেখানে এত ছোট ভূমিকায় তিনি কেন রাজি হলেন? অনামিকার উত্তরে ছিল সোজাসাপটা। তিনি বলেন, বহু কাজ তিনি নিজেই ফিরিয়ে দিয়েছেন কিন্তু সবসময় ‘না’ বলতে বলতে যে একেবারে আড়ালে চলে যেতে পারেন, সেই ভয়ও সত্যি।
তাই স্বল্প দিনের হলেও, চরিত্রটায় গভীরতা থাকায় তিনি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, শরীরের পরিবর্তন নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা মন্তব্য শুনেছেন। আগের তুলনায় ওজন কিছুটা বেড়েছে, এই কথা তিনি নিজেও লুকোন না। বরং সরাসরি বলেছেন, এই পরিবর্তনের কারণে অনেক অফার হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এটাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র চরিত্র পাওয়ার জন্য রোগা হওয়ার দৌড়ে তিনি নিজেকে শেষ করে দিতে চান না!
দিনের পর দিন ১৪ ঘণ্টা শুটিং করে কঠোর ডায়েট মেনে চলা তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। তবে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি পুরোপুরি উদাসীন নন। বরং ধীরে ধীরে, নিজের গতিতে ফিরতে চাইছেন পুরোনো স্বাচ্ছন্দ্যে। অনামিকার কথাতেই বোঝা স্পষ্ট, তিনি এখন আর তাড়াহুড়োতে ডায়েট বা শরীর ভাঙার মতো কোনও চেষ্টায় যেতে চান না। আগেও এমন অনিয়ম করে ভুগেছেন, তাই এবার সুস্থভাবে নিজের শরীরকে ঠিক করার পথেই হাঁটছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘ওর মধ্যে বিবেকটা কাজ করে যে কতটুকু শুনবো আর কতটুকু না, বিবেক-শিক্ষিতা বলেই এগোচ্ছে!’ শিরিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জিতু! সমালোচনার আবহে অভিনেতা করলেন জোরালো সমর্থন! নতুন অপর্ণার প্রথম পর্বের পর, জুটিতে অভিনয় নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি?
এদিন অনামিকা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন সকলের উদ্দেশ্যে যে, ক্র্যাশ ডায়েট করে সাত দিনে রোগা হওয়া যায়, এই ধারণা তিনি মানেন না! শরীর ক্ষতি করে পাওয়া সাফল্য তিনি চান না। কাজ হোক বা না হোক, নিজেকে সুস্থ রাখা এখন তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো এটাই তার অভিনয়ের মতোই সত্যবাদী দিক, নিজের সীমা এবং প্রয়োজনকে তিনি খোলাখুলি স্বীকার করেন আর সেই জায়গা থেকেই আবার নতুন করে ফিরতে চান পর্দায়।
