জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘পর্দা হোক বা বাস্তব, বাবাই আমার প্রথম ও প্রকৃত শিক্ষক…আমি আজ যা কিছু তোমার জন্যই!’ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জন্মদিনের আবেগী পুত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি!

জীবনের প্রথম ভরসার নাম বাবা। নীরবে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে যিনি শেখান লড়াই করতে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনেও বাবার ভূমিকা ঠিক তেমনই। ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে তিনি বাবাকেই আদর্শ হিসেবে দেখেছেন। জীবনের মূল্যবোধ হোক বা কাজের নিষ্ঠা সবটাই তিনি শিখেছেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই।

তবে এই সম্পর্ক সব সময় মসৃণ ছিল না। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয় বিয়ে করার পর কিছু সময়ের জন্য বাবা ছেলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই মানসিক ব্যবধান প্রসেনজিতের জীবনেও প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দূরত্ব অনেকটাই কমেছে। এখন প্রায়ই বিশ্বজিতকে দেখা যায় প্রসেনজিৎ অর্পিতা এবং একমাত্র নাতির সঙ্গে পারিবারিক মুহূর্ত কাটাতে।

১৪ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে আবেগে ভাসলেন বুম্বাদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন ছোটবেলার একটি দুর্লভ ছবি। ছবিতে দেখা যায় তরুণ বিশ্বজিতের কোলে ছোট্ট প্রসেনজিৎ। ছবিটি দেখেই বোঝা যায় একসময় কী অসম্ভব আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা।

ছবির সঙ্গে বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রসেনজিৎ লিখেছেন হৃদয়ছোঁয়া বার্তা। তিনি জানান জীবন আর সিনেমা দুই ক্ষেত্রেই তাঁর প্রকৃত শিক্ষক বাবা। এই পোস্টে অনুরাগী থেকে শুরু করে সহকর্মীরা সকলেই বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন। আবেগঘন এই মুহূর্ত ছুঁয়ে যায় বহু মানুষকে।

উল্লেখ্য বাবার হাত ধরেই ১৯৬৮ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রসেনজিৎ। পরে ১৯৮৩ সালে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। আজও তিনি সমান দাপটে কাজ করছেন বাংলা ও হিন্দি দুই ইন্ডাস্ট্রিতে। সাম্প্রতিক ছবি দেবী চৌধুরানী ও মালিক তারই প্রমাণ। বাবার দেখানো পথেই আজও এগিয়ে চলেছেন বুম্বাদা।

Piya Chanda