জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অরণ্য-পাখির রাজকীয় বিয়ের স্মৃতি আজও অমলিন, সেই তুলনায় আর্য-অপর্ণার বহু প্রতীক্ষিত বিয়ে কি নিতে পারল প্রত্যাশার ভার? এক দশকের ব্যবধানে দুই যুগান্তকারী বিয়ে, ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’র তৈরি করা মানদণ্ড ভাঙতে পারল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’?

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) এর আর্য-অপর্ণার বিয়ের (Arjo weds Aparna) পর্বটি দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের কাছে ছিল মহা প্রতীক্ষার। শুরুর দিকে, যখন আর্য এবং অপর্ণার অসমবয়সী প্রেমের গল্পটি শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই দর্শকরা তাঁদের বিয়ে দেখতে মুখিয়ে ছিলেন। তবে, পর্দার বাইরের টানাপোড়েনে অনেক কিছু বদলেছে। দিতিপ্রিয়া রায়ের অপর্ণা চরিত্র ছেড়ে দেওয়ার পর, নতুন অপর্ণার চরিত্রে শিরিন রায় আসেন।

এই পরিবর্তনটি কিছুটা দর্শকদের মনঃপূত হয়নি আর এতে ধারাবাহিকের টিআরপি রেটিংও কিছুটা কমেছে। কিন্তু, আর্য ও অপর্ণার বিয়ে তো ছিল দর্শকদের কাছে এক আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। তবে, বিয়ের এই পর্বটি নিয়ে যে উচ্চ প্রত্যাশা ছিল, তা অনেকটাই পূর্ণ হয়নি! দর্শকদের মনে হয়েছিল, যেভাবে আর্য অপর্ণাকে প্রপোজ করেছিলেন তা ছিল অত্যন্ত রাজকীয় এবং শক্তিশালী আবেগ সমৃদ্ধ দৃশ্য। বিয়ের সময় ঠিক সেই অনুভূতি আরও এক ধাপ উপরে উঠবে ভেবেছিলেন অনেকেই।

আর্য সিংহ রায়ের চরিত্রের যে এক বিশাল আর্থিক অবস্থান এবং মর্যাদা আছে, তাতে দর্শকদের ধারণা ছিল যে বিয়ের আয়োজনও হবে একেবারে আড়ম্বরপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে সেটি কিছুটা একঘেয়ে, সাধারণ মনে হয়েছে অনেকের। তবে শুধু বিয়ের আয়োজন নয়, আরও একটি বিষয় রয়েছে যা দর্শকদের হতাশ করেছে, আর তা হলো বিয়ের পথচলাগুলো বেশ তাড়াতাড়ি শেষ করা হয়েছে। এতে পুরো অনুষ্ঠানের তাৎপর্য কিছুটা হালকা হয়ে গেছে। শুরুর পর্বের রাজকীয়তা এবং ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন যেখানে অসাধারণ ছিল।

সেখানে বিয়ের পর্বে সেই একই রকম গভীরতা এবং বিশালতা অনুভূত হয়নি। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য ধারাবাহিকগুলির বিয়ের আয়োজনের তুলনায়, এখানে যে আকর্ষণ ছিল, তা যেন এবার কিছুটা কম। তবে, এসব কিছু সত্ত্বেও একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে আর্য এবং অপর্ণার বিয়ে দর্শকদের জন্য আসলেই একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, অবশেষে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করার দৃশ্যটি দর্শকদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা দখল করেছে। যদিও কিছুটা অভিযোগ থাকলেও, গল্পের আবেগ অস্বীকার করা যায় না।

বিশেষ করে, স্টার জলসার ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ধারাবাহিকের অরণ্য-পাখির বিয়ের পর্বটি দর্শকদের মধ্যে পর্দার বিয়ে নিয়ে এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছিল। সেই পর্বটি ছিল একেবারে স্মরণীয়, যার প্রভাব বাংলা টেলিভিশনের বিয়ের প্রেজেন্টেশনে আজও অনুভূত হয়। আর্য-অপর্ণার বিয়ের পর্বটি সেই মানদণ্ডের কাছাকাছি পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু কিছু জায়গায় তা পূর্ণ হয়নি। তবে শেষমেশ, একটা কথা বলতেই হয় যে এই বিয়ের আয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর্য-অপর্ণার পরিণতি। যা দর্শকরা দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষী থেকেছেন, অবশেষে সার্থক হয়েছে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page