করোনা পরবর্তী সময়ে যখন দর্শক টানতে হিমশিম খাচ্ছিল বহু প্রেক্ষাগৃহ, তখন কিছু ছবি আবার দর্শকদের হলে ফেরার সাহস জুগিয়েছিল। সেই তালিকায় অন্যতম ছিল টলিউডের ‘প্রজাপতি’। বাবা-ছেলের সম্পর্কের সরল অথচ আবেগী গল্প অনেকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে এমনভাবে মিলে গিয়েছিল বলেই হয়তো ছবিটা এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। দেব (Dev) আর মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) পর্দার সম্পর্ক শুধু গল্পের প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং দর্শকের মনে একটা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছে।
সেই স্মৃতির রেশ কাটতে না কাটতেই, চলতি বছরে বড়দিনে আবার ফিরল সেই জুটি ‘প্রজাপতি ২’-এর (Prajapati 2) মাধ্যমে। এই বছর বড়দিনের বক্স অফিস বেশ জমজমাট, কারণ একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে একাধিক ছবি। এর ফলে প্রতিযোগিতাও চোখে পড়ার মতো এবার। দেব-মিঠুনের ছবি ছাড়াও রয়েছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ এবং কোয়েল মল্লিকের ‘মিতিন একটি খুনীর সন্ধানে’। তবে, সবাইকে ছাপিয়ে শীতের শহরে সিনেমা ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে,
তার কেন্দ্রে কিন্তু আলাদা করে নজর কেড়েছে ‘প্রজাপতি ২’-এর পারিবারিক আবহ। এই ছবিতে সম্পর্কের সমীকরণে এবার সামান্য বদল এসেছে। এবার সিঙ্গেল ফাদার দেব, আর তাঁর বাবার চরিত্রে মিঠুন চক্রবর্তী। গল্পে পরিবারই মূল চালিকাশক্তি, যেখানে আবেগ আছে কিন্তু তা অতিরিক্ত নয়। ইধিকা পাল, জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু, অনুমেঘা কাহালি, খরাজ মুখোপাধ্যায় এবং অপরাজিতা আঢ্য সহ অনেক দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও গল্পকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে ছবিটা যেন সম্পর্কের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে। প্রসঙ্গত, এই আবহেই মিঠুন চক্রবর্তীর বলা একটি মন্তব্য আলাদা করে আলোচনায় এসেছে। দেবের সঙ্গে তাঁর বাস্তব জীবনের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অনেকের মন ছুঁয়ে গেছে। মিঠুন বলেন, “দেব আমারই ছেলে! ওর বাবা আমার জন্য সব ভালো ভালো রান্না করে শুটিংয়ে নিয়ে আসত, সব বড় বড় প্রোডাকশনের কাজে। আর ও বেটা, ছোট থেকেই বাবার পেছন পেছন চলে আসতো।
আরও পড়ুনঃ “চুলের কাঁটা যেমন মাথার খোপাকে শক্ত করে বেঁধে রাখে, তুমিও আমাকে আগলে রাখবে তো?” কথার ছলে প্রস্তাব দিলেন আরাত্রিকা, পাল্টা প্রতিশ্রুতিতে ভরসা দিলেন অভিষেক! অবশেষে সম্পর্কের গুঞ্জনে ইতি! ভক্তদের দাবি, এবার ঘোষণা হোক আনুষ্ঠানিকভাবে!
আমার সঙ্গেই থাকত আর হাজার রকম প্রশ্ন করত। তখন থেকে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল আর এখন তো বড় হয়েছে, বুঝতে শিখেছে যে মিঠুনদার কি অবদান বা আমি কে। এখন আরও বেশি পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে আমাদের।” এই কথাগুলোতে আলাদা করে কোনও নাটকীয়তা নেই বরং আছে দীর্ঘ দিনের সান্নিধ্য থেকে তৈরি হওয়া আত্মীয়তার স্বীকৃতি। সহ-অভিনেতা থেকে ধীরে ধীরে পরিবারের মানুষের মতো হয়ে ওঠার যে যাত্রা, সেটাই যেন ধরা পড়েছে এদিন মিঠুনের কথায়।
