জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমাকে নায়িকার ভূমিকায় মানায় না, এই কথাই বারবার শুনেছি!” বাবা চাইতেন মেয়ে যোগ দিক সেনাবাহিনীতে! কিন্তু অদম্য জেদ ও দক্ষতায়, অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কুসুম’ তানিষ্কা! স্বপ্নপূরণের লড়াই জিতে, এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী! আপনাদের কেমন লাগে তাঁর অভিনয়?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘কুসুম’ (Kusum) অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকের নজর কেড়েছে, আর সেই সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছেন নায়িকা ‘তানিষ্কা তিওয়ারি’ (Taniska Tiwari)। ছোটপর্দায় তাঁকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়েছে, এমনটা নয়। এর আগেও একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছে, তবে সেগুলিতে মূলত পার্শ্ব চরিত্র বা নেতিবাচক ভূমিকায়। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগটা এতদিন অধরাই ছিল। ‘কুসুম’-এর হাত ধরেই হয়েছে সেই অপেক্ষার অবসান।

এই ধারাবাহিকে দর্শকের ভালোবাসা ধীরে ধীরে তাঁকে আলাদা জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, তানিষ্কার অভিনয়ে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথটা খুব মসৃণ ছিল না। যেমন ‘কুসুম’-এর শুরুতে অনেকেই মনে করতেন, তাঁকে মুখ্য চরিত্রে মানাবে না। কেউ কেউ তো সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এই মুখ কি আদৌ প্রধান চরিত্রের জন্য ঠিক? এমন মন্তব্য শুনে ভেঙে পড়ার কথা ছিল, কিন্তু তানিষ্কা নিজেকে গুটিয়ে নেননি। বরং নিজের কাজটাকেই সবচেয়ে যোগ্য জবাব হিসেবে সামনে রেখেছেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকের গল্পে তাঁর চরিত্র যত দৃঢ় হয়েছে, দর্শকের বিশ্বাসও ততটাই বেড়েছে। নায়িকা হিসেবে প্রথমবার নিজের মুখ বড় বড় হোর্ডিংয়ে দেখার অভিজ্ঞতাও তানিষ্কার কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। শহরের নানান প্রান্তে সেই ছবি দেখে পরিবারের কাছের মানুষদের প্রতিক্রিয়া তাঁকে আলাদা করে ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে বাবার এক বন্ধুর পাঠানো ছবি তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, এই যাত্রাটা শুধু তাঁর একার নয়, পরিবারেরও। এতদিনের পরিশ্রম যে চোখে পড়ছে, সেটাই তাঁকে ভিতরে ভিতরে আরও শক্ত করেছে।

পরিবারের সমর্থনের কথা বলতে গিয়েও তানিষ্কা বারবার কৃতজ্ঞতার কথা বলেন। তাঁর বাবা চাইতেন মেয়ে দেশের জন্য কিছু করুক, সেনাবাহিনীতে যোগ দিক। তবে অভিনয়ের ইচ্ছেকে কখনও অগ্রাহ্য করা হয়নি। ছোটবেলা থেকেই কোথাও অভিনয়ের সুযোগ এলে মা পাশে থেকেছেন, বাবাও ছুটির দিনে সঙ্গে গিয়েছেন। কোনও চাপ নয়, বরং নিজের পছন্দের পথে হাঁটার স্বাধীনতাই তাঁকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করেন অভিনেত্রী।

আজ যখন দর্শকের একাংশ তাঁকে নায়িকা হিসেবেই গ্রহণ করছেন, তখন সেই পুরনো সন্দেহের কথাগুলো আর তেমন ভারী লাগে না তাঁর কাছে। নেতিবাচক মন্তব্যে নিজেকে আটকে না রেখে তিনি সামনে তাকাতে শিখেছেন। তানিষ্কার বিশ্বাস, ভালোবাসা আর পরিশ্রম থাকলে সময়ই সব প্রশ্নের উত্তর দেয়। একসময় যাঁরা বলেছিলেন তিনি নায়িকা হতে পারবেন না, আজ তাঁদের কথার জবাব মিলছে পর্দাতেই দৃঢ়ভাবে। আপনাদের কেমন লাগে তানিষ্কার অভিনয়?

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page