বিনোদন জগতের তারকারা আজ আর শুধুমাত্র পর্দার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। একজন অভিনেতা কীভাবে কথা বলেন, কীভাবে জীবনযাপন করেন, কোন বিষয়ে বিশ্বাস রাখেন—সবকিছুই আজ দর্শকের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। অভিনয়ের বাইরেও তাঁদের ব্যক্তিত্ব, চিন্তাভাবনা ও জীবনদর্শন আলাদা করে নজর কেড়ে নেয়। তাই কোনও অভিনেতার একটি বক্তব্য বা দর্শন অনেক সময় তাঁর অভিনয়ের মতোই আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
এই তালিকায় টলিউডের যে নামটি প্রথম সারিতে উঠে আসে, তিনি হলেন জিৎ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা ছবির দর্শকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে মনোরঞ্জন করে চলেছেন। অ্যাকশন হোক বা রোম্যান্টিক চরিত্র, পারিবারিক গল্প কিংবা সামাজিক বার্তা—প্রায় সব ধরনের চরিত্রেই নিজেকে সাবলীলভাবে মেলে ধরেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিনয় যেমন পরিণত হয়েছে, তেমনই দর্শকদের সঙ্গে তাঁর সংযোগও আরও দৃঢ় হয়েছে।
তবে জিৎকে আলাদা করে চেনায় শুধু তাঁর সিনেমা নয়। তাঁর জীবনযাত্রা, কথা বলার ধরন এবং মাটিতে পা রেখে চলার মানসিকতা তাঁকে টলিউডের ভিড়ে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। খুব বেশি ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে না আনলেও, যেটুকু বলেন তাতেই স্পষ্ট হয় তাঁর বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি। সাফল্যের চূড়ায় থেকেও অহংকারহীন থাকা, নিজের কাজকে প্রাধান্য দেওয়া—এই গুণগুলিই তাঁকে দর্শকদের কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।
সম্প্রতি জিৎ বলেন, “আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না, আমি কর্মে বিশ্বাস করি। আমি সেটাই করি যেটা আমার মন বলে।” এই একটি বক্তব্যেই ধরা পড়ে তাঁর জীবনদর্শন। ভাগ্যের উপর নির্ভর না করে নিজের কাজ, সিদ্ধান্ত এবং পরিশ্রমকেই এগিয়ে যাওয়ার মূল চাবিকাঠি বলে মনে করেন তিনি। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নিজের মন ও বিবেকের কথা শোনাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্বাস করেন জিৎ।
আরও পড়ুনঃ শ’ত্রুর সঙ্গেই বন্ধুত্ব! এবার বন্ধুত্বের দিকে এক নতুন পথ, নিশা ও জিৎ বসুর সম্পর্কের নতুন মোড়! ধ্বংসের কিনারে, জিৎ বসু কি বিশ্বাস করবে নিশার কথা? ‘জোয়ার ভাঁটা’য় এবার প্রেমের অঙ্গীকার?
এই দৃষ্টিভঙ্গিই সম্ভবত তাঁকে এত বছর ধরে দর্শকের ভালোবাসার কেন্দ্রে ধরে রেখেছে। পর্দার নায়ক হিসেবে যেমন তিনি শক্তপোক্ত, বাস্তব জীবনেও তেমনই আত্মবিশ্বাসী ও স্থির। অভিনয়, জীবনযাপন এবং চিন্তাভাবনার এই সমন্বয়ই জিৎকে শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেতা নয়, বরং অনুপ্রেরণার এক মুখ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
