জি বাংলার ‘জোয়ার ভাঁটা’ (Jowar Bhanta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, উজি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই নিশা খুব রেগে যায়। পরক্ষণেই ঠিক দরজার কলিং বেল বাজলে শুরু করে। নিশা ভাবে নিশ্চয়ই ভানু এসেছে। সে তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে একটা ফুলদানি নিয়ে তেড়ে যায় তার দিকে। কিন্তু দেখতে পায়, ভানু নয় বরং ফুলের তোড়া হাতে অফিসার জিৎ বসু।
এরপর জিৎ বসুকে ভেতরে আসতে বলে সে। জিৎ জানায়, বড়দিনের পার্টিতে তার কোনও পরিকল্পনা ছিল না নিশাকে অপমান করার। যেহেতু নিশা ছদ্মবেশে ছিল আর ঋষির শত্রুরা বারবার ছদ্মবেশেই আক্রমণ করছে, তাই সন্দেহের কারনে নিশাকে পা দেখাতে বলেছিল গুলি লেগেছে কিনা জানতে। এরপর ফুলের তোড়া হাতে দিয়ে জিৎ ক্ষমা চায় নিশার কাছে।

অন্যদিকে, উজি বাড়ি ফেরার পথে নিশার কথাই ভাবতে থাকে। স্বপ্নে দাদাকে দেখেছে নিশা, এটা যেন উজির কানে বারবার বাজতে থাকে। হঠাৎ উজি লক্ষ্য করে, সামনেই সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যেখানে তাদের দাদা বিতান এক সময় পড়াশোনা করত। খোঁজ নেওয়ার জন্য, উজি ভেতরে ঢোকে। একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়, তিনি বলেন বিতানের বন্ধুদের নম্বর জোগাড় করে দিতে পারবেন।
উজিকে দাঁড়াতে বলে, তিনি ভেতরে যেতেই হঠাৎ ঋষি হাজির সেখানে। ঋষিকে দেখে উজি মিথ্যে কথা বলে যে মহিলাদের নিয়ে এনজিও খুলবে বলে খোঁজ করতে এসেছিল। তারপর তাড়াহুড়ো করে ঋষিকে নিয়ে উজি চলে যায়। এদিকে, নিশা কফি বানায় জিতের জন্য। জিৎ দেখতে পায় কিছু ওষুধপত্র এবং ব্যান্ডেজ পড়ে আছে। জিজ্ঞেস করা মাত্রই নিশা বলে যে গৃহকর্মীর হাত কেটে গেছে তাই জন্য এগুলো রাখা।
আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্রনাথ দত্ত আর নরেন্দ্র মোদী এক নন…যারা বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করে, তাদের মুখে সংস্কৃতির কথা মানায় না।” ‘হোক কলরব’ ঘিরে বিতর্কে পরিকল্পিত আক্রমণের অভিযোগ রাজ চক্রবর্তীর!
জিৎ এটা শুনেই নিজের মনে বলে যে, শত্রু হয়ে নয় বরং এবার বন্ধু হয়েই নিশার সত্যিটা জানবে। তারপর কফি খেয়ে জিৎ সেটার প্রশংসা করলে, নিশা বলে যে সে শত্রুকেও এমন বিষ খাওয়ার যে তার অমৃত মনে হয়। ওদিকে ব্যানার্জি বাড়িতে ঋষির মা জেনে গেছে যে, উজি আর খেয়া নববর্ষে ঋষিকে নাইট ক্লাবে নিয়ে যায়। এইসব শুনে তিনি খুব রাগারাগি করেন আর ঘরে বন্ধ করে নেন নিজেকে।
