রাজ চক্রবর্তীর নতুন ছবি হোক কলরব মুক্তির আগেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র আন্দোলন, ক্যাম্পাস রাজনীতি এবং ২০১৪ সালের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৩ জানুয়ারি। টিজার প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
বিতর্কের মূল কারণ টিজারে থাকা একটি সংলাপ। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এখানে ‘ক্ষুদিরাম চাকী’ নামে এক আইপিএস অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছেন। একটি দৃশ্যে তাঁর সংলাপ— “নমস্কার, আমি ক্ষুদিরাম চাকী। না, আমি ঝুলি না, ঝোলাই।” এই সংলাপ ঘিরেই আপত্তি উঠেছে একাংশের। তাঁদের দাবি, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর নামের সঙ্গে এমন সংলাপ যুক্ত করা অবমাননাকর।
সামাজিক মাধ্যমে সমালোচকদের বক্তব্য, ক্ষুদিরাম বসু হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে উঠেছিলেন, সেই আত্মত্যাগের ইতিহাসকে হালকা ভাবে দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ছবির নির্মাতাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তিনি জানান, এই সমালোচনা পরিকল্পিত এবং এর পেছনে একটি রাজনৈতিক আইটি সেলের ভূমিকা রয়েছে। রাজ বলেন, “ক্ষুদিরাম চাকী আর ক্ষুদিরাম বসু এক নন। যেমন নরেন্দ্রনাথ দত্ত আর নরেন্দ্র মোদী এক নন। চরিত্রের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।” তাঁর মতে, পুরো সিনেমা না দেখে শুধুমাত্র টিজার দেখে বিচার করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ “প্রথম ছবি থেকে শুরু করে আজ অবধি আমি কোনদিনও কারোর কাছে হাত পেতে ছবি চাইনি” – অকপট চিরঞ্জিত চক্রবর্তী! ‘অহংকার’ নাকি ‘আত্মসম্মান’ কিসের উপর ভিত্তি করে এমন দাবি অভিনেতার? নিজের অভিনয় জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন বাংলা সিনেমার এই কিংবদন্তি!
রাজ আরও বলেন, যারা বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র বা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করে, তাদের মুখে সংস্কৃতির কথা মানায় না। তিনি আশ্বাস দেন, পুরো ছবি দেখলে দর্শক বুঝবেন চরিত্র ও সংলাপের প্রকৃত অর্থ। এখন দেখার বিষয়, ২৩ জানুয়ারি মুক্তির পর এই বিতর্ক থামে, না কি নতুন আলোচনার জন্ম দেয় ‘হোক কলরব’।
