প্রাচীনকালে একটা পুরনো ধারণা ছিল অভিনেত্রী হলেই তাঁকে হতে হবে সুন্দর, লম্বা এবং ফর্সা। আর অভিনেতা হলে সুপুরুষ এবং সুডৌল মাংসপেশি থাকবে। যদিও এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ভাবনা চিন্তা পাল্টেছে। তাই ভেঙে যাচ্ছে এই প্রচলিত ধারণাগুলিও।
বলিউডে বিদ্যা বালানা আর আমাদের টলিউডে ভেঙেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। হ্যাঁ, এই বয়সে যেভাবে স্বাস্থ্যবতী হয়েও ব্যাটিং করে চলেছেন তিনি, সেটা নজির স্থাপন করেছে সমাজে। তাই এখন পুরনো ভাবনাচিন্তাকেই মেনে চলা মানুষের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমছে। তবু এমন মানুষ রয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না।
৫০ বছরের বেশি হয়ে গেল অভিনেত্রী অপরাজিতা টলিউডে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বক্ষেত্রে সমানভাবে তাঁর অগাধ বিচরণ। এই মুহূর্তে নায়িকাকে দেখা যাচ্ছে একটু প্রথম সারির বাংলা চ্যানেলে ধারাবাহিক লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারে নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে। হালকাভাবে নিলে চলবে না কারণ শুরু থেকে টিআরপিতে নিজেকে ধরে রেখেছেন লক্ষ্মী কাকিমা।
তাই অনেকেরই জানতে ইচ্ছা করে, ঠিক কোন আদর্শে বাঁচেন অপরাজিতা আঢ্য? নায়িকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যদি তাঁর মনে হয় তিনি নিজের বেস্ট দিতে পারছেন না কারণ তিনি রোগা হতে পারছেন না তাহলে তিনি রোগা হয়ে যেতেন, সেই ক্ষমতা তিনি রাখেন। কারণ গত লকডাউনে ১০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন অপরাজিতা আঢ্য।
কিন্তু তিনি এমনটা করবেন না কারণ রোগা হলেও লোকের আপত্তি। অহরহ সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকা কে মানুষ পোস্ট করে চলে এসেছে তিনি যেন এমনই গোলু মোলু থাকেন। কারণ তারা নায়িকাকে এমন দেখতে অভ্যস্ত নয়।
এরপরেই নায়িকা নিজের জীবনের আদর্শের কথা তুলে ধরলেন তিনি বললেন তিনি যদি অন্যের আদর্শ, অন্যের পছন্দে বাঁচেন তাহলে এর থেকে মরে যাওয়া ভালো তাঁর কাছে। তিনি মনে করেন রোগা হওয়া বা মোটা হওয়া এটা থাকবে না থেকে যাবে অভিনয়। তিনি বললেন “আমি নিজের পছন্দে বাঁচি তুমি আমাকে নিলে ভালো না নিলে আরো ভালো”।
View this post on Instagram