যখন কোন সিরিয়াল শুরু হয় সেই নিয়ে প্রচুর উৎসাহ থাকে সাধারণ মানুষের। তারপরে সিরিয়াল এগোতে এগোতে তারা আমাদের ঘরের মানুষ হয়ে যায় অনেক সিরিয়াল মানুষের ভালো লাগে না বলে অচিরেই তারা শেষ হয়ে যায়।কিছু সিরিয়াল আছে যেগুলো হয়তো অনেক লম্বা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের একটা আলাদা ভক্তগোষ্ঠী আছে।যেমন এখন সোনামনি আর প্রতীককে স্টার জলসার অন্য সিরিয়ালের দেখতে পাওয়া গেলেও মোহর ভক্তরা আজও মিস করেন শঙ্খ আর মোহর জুটিকে।
সেরকমই শ্রীময়ী আর রোহিত দা কেউ অনেকেই মিস করেন এখনো আর খুব শীঘ্রই আরো একটা জুটিকে মানুষ মিস করতে চলেছে। এতদিনে মোটামুটি সবাই জেনে গেছেন যে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খড়কুটো শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই তবে শেষটা যেভাবে দেখানো হবে সেটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।অনেকেই ভেবেছিলেন যে সাজির বিয়ে দিয়ে শেষ দেখানো হবে কিন্তু হঠাৎ করে গুনগুন মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং তাকে সার্জারি করাতে হবে।
‘তোমার বাড়ির না, প্রত্যেক টা মানুষ খুব ভালো,আর আমি না সত্যি চেয়েছিলাম operation এ যাওয়ার আগে একবার যদি সবাই কে দেখতে পারতাম’, সার্জারি করতে ঢোকাবার আগে গুনগুনের এই কথা শুনে কেঁদে ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা আর বুঝতেই পারছেন যে গুনগুনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে খড়কুটো। এটাই কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
দীর্ঘ দুই আড়াই বছর ধরে চলা সিরিয়ালের এই পরিণতি মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে সকলের। সব রাগ গিয়ে পড়ছে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর।তিনি শ্রীময়ী শেষ করেছিলেন রোহিত সেনকে মেরে ফেলে এখন আবার খড়কুটো শেষ করছেন গুনগুন কে শেষ করে দিয়ে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামে যাচ্ছেতাই ট্রোলিং করা হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন যে এরপর এক্কাদোক্কাতেও রাধিকা নয়তো পোখরাজকে মেরে ফেলবেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আবার ধুলোকণাতেও লালন ফুলঝুরির মধ্যে কাউকে শেষ করে দেবেন। এই ভয়ে সিরিয়ালই দেখতে ইচ্ছা করছে না। খড়কুটোর শেষ এপিসোড কীভাবে দেখানো হয় সেটাই দেখার।