খাসির মাংস আমরা সাধারণত পাতলা ঝোল করে খেতে ভালবাসি। সঙ্গে আবার গরম ভাত। পাশাপাশি আবার মাটন কষা খেতেও ভালো লাগে রুটি বা পরোটা দিয়ে। কিন্তু মাটন সুখা খেয়েছেন কখনো?
নামটা শুনেই জিভে জল চলে এলো? তাহলে আর অপেক্ষা কিসের তাড়াতাড়ি আমাদের এই রেসিপিটি দেখে নিন। যে কোনো দিন দুপুরে অথবা রাতে জমে যাবে খাবার পাত। তবে দুপুরে ভাতের সঙ্গে যতটা এটা জমবে তার থেকে বেশি রাতে রুটি অথবা পরোটা দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগবে। বেশি সময় লাগে না এটা বানাতে। শুধু মাংসটা কষা হতে যেটুকু সময় লাগে।
উপকরণ: পাঁঠার মাংস: ৫০০ গ্রাম
তেল: পরিমাণ মতো
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
রসুন কুচি: ১ টেবিল চামচ
আদা কুচি: ১ চা চামচ
ধনেপাতা: কুচি আধ কাপ
ছোট এলাচ: ৩টি
লবঙ্গ: ৪টি
দারচিনি টুকরো: ১টি
তেজপাতা: ৩টিনারকেল কুচি: আধ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: ২ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদ মতো
পদ্ধতি: বাটিতে দু’চামচ ঘি, হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন ও এক টেবিল চামচ নারকল কুচি, আদা-রসুন বাটা মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে ম্যারিনেট করুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং ধরতে শুরু করলে কুচনো নারকেল দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করে ধনেপাতা ও সামান্য জল মিশিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে মিক্সিতে বেটে নেবেন। কড়াই নামিয়ে প্রেশার গরম করতে বসান। তাতে ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়ুন। পেঁয়াজ সোনালি রং হয়ে এলে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে কষাতে থাকুন। গন্ধ বেরোলে ৪ কাপ মতো জল দিয়ে প্রেশারের মুখ বন্ধ করুন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে নেবেন।
বাকি ঘি গরম করে এক চামচ নারকেল কুচি, এবং মিক্সিতে বেটে রাখা ওই মিশ্রণটি দিয়ে মিনিট দুয়েক নেড়ে বাটা মশলার গন্ধ কেটে গিয়ে তেল ছেড়ে এলে মাংস দিয়ে দেবেন। মাঝারি আঁচে মাংস নাড়বেন। অল্প জল ঢালুন। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে এলে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নেবেন। পরোটা বা রুটির সঙ্গে দারুন লাগবে মটন সুখা।