ঠাম্মি, পিসিমনি এবং দাদাইদের নিয়ে নতুন বাড়িতে এসে হাজির হয় সিড। নতুন বাড়িতে ঢুকে অবাক হয়ে যায় সবাই। সিদ্ধার্থ বলে এর থেকে বেশি আর এখন আয়োজন করা যায়নি। অসুবিধা হবে কিন্ত তাড়াতাড়ি আবার মনোহরাতে সবাই ফিরে যাবে। কিন্তু দাদাই বলে ওঠে চিন্তা করতে হবে না কোন অসুবিধা হবে না।
ঠাম্মি মন খারাপ করলে শ্রী তাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। মিমি, ছোট কাকিমনি আছে সবাই ওখানেই রান্না-বান্না করছে। কিন্তু ঠাম্মি কেঁদে ফেলে। মিঠাইয়ের সব থেকে বেশি মন খারাপ হয়েছে। সমরেশ আর কাকাই চলে আসে সব দেখার জন্যে। জানায় যে রুদ্র তাদেরকে সমস্ত কাগজ তৈরি করতে বলেছে। এদিকে দাদাই বলে সে সব থেকে বেশি খুশি কারণ সিড সংসারী হয়ে উঠছে।
আর সেই সময়ে সেখানে এসে হাজির হয় টেস বুড়ি। সে বলে সে ওখানে থাকতে পারবে না। তাই সে প্রমিলা লাহার কাছে বাড়ি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় মিঠাই প্রতিবাদ করে উঠলে তোর্সা রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এরপর দেখা যায় মিঠাই সকলের জন্য চা বানাতে গিয়ে উনুন জ্বালাতে বসে। আগে কোনদিন এই কাজ করেনি তাই কোনমতে উনুন জ্বালাতে পারে না সে। এদিকে চারিদিক ধোয়াতে ভরে যায় মিঠাইয়ের খুব কষ্ট হয়। স্ত্রীর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সেখানে ছুটে চলে আসে উচ্ছে বাবু। কিন্তু কেউই উনুন জ্বালাতে পারে না। রাজিব সেখানে আসে আর বলে শেষ পর্যন্ত এই কাজ করতে হচ্ছে তাকে। খুব কষ্ট পায় সিদ্ধার্থ। সে বলেছে সে চ্যালেঞ্জ করেছে যে সে সব কাজ করতে পারবে কিন্তু আসলে সে কিছুই করতে পারছে না। এমন কিছু ঠিক করেছিল মিঠাইকে আর কষ্ট দেবে না কিন্তু সেটাও আবার হচ্ছে।
স্বামীর মনের কষ্টের কথা জানতে পারে মিঠাই কেঁদে ফেলে। সেটা দেখে ফেলে সিড। সে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে স্ত্রীর চোখের জল মুছে দেয়। এরপর হঠাৎ দেখা যায় ধোয়া শেষ হয়ে গেছে অর্থাৎ উনুন শেষমেষ জ্বলে গেল। এবার রান্না হবে।