গ্ল্যামার দুনিয়াকে বাইরে থেকে আমরা যতটাই রঙিন ভাবি না কেনো ভেতরে ভেতরে কিন্তু আরো অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। কোনোটা হতাশার কোনটা দুঃখের কোনটা কষ্টের। সেইগুলো চাপা পড়ে যায় বাইরের দুনিয়ার চাকচিক্যর কারণে। একটু চাপ দিলেই মাঝে মাঝে সেগুলো বেরিয়ে আসে আগ্নেয়গিরির লাভার মত।
ঠিক তেমনটাই ঘটলো অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই অভিনেতাকে বলা হয় তিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রি। কারণ একটা সময় নাকি একমাত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন যিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে অন্ধকার অধ্যায় থেকে টেনে তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের সামনে। বহু মানুষের কাছে এখনো বুম্বাদা ক্রাশ। এই বয়সেও যেভাবে নিজের যৌবন এবং ঔজ্বল্য ধরে রেখেছেন প্রসেনজিৎ সেটা প্রশ্নাতীত।
এবার আসা যাক আসল বিষয়ে। আসলে শীঘ্রই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে বহুল আলোচিত বাংলা সিনেমা ‘কাছের মানুষ’। বহুদিন পর এই সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যাবে টলিউডের দুই সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবকে। স্বাভাবিকভাবেই দুজনের ভক্তদের মধ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। মুক্তির আগে প্রচার পর্ব সারছেন দুজনে মিলে। সোশ্যাল মিডিয়ার আনাচে-কানাচেও এই সিনেমা কেন্দ্রীক বিভিন্ন তথ্য ভক্তদের কাছে এসে পৌঁছেছে।
এরই মাঝে ঘটল এক চমকপ্রদ ঘটনা। এই সিনেমার প্রচারের মধ্যেই প্রসেনজিৎ প্রথমবার নিজের পুরনো অতীত নিয়ে মুখ খুললেন। বলে ফেললেন এমন কিছু কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
আসলে কোনও এক সাক্ষাৎকারে ‘কাছের মানুষ’ টিমের পক্ষ থেকে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়’কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তিনি যদি ফের একবার অতীতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান, তাহলে তিনি কার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন’? এক মুহূর্ত নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছেন অভিনেতা। বুম্বাদা জানিয়েছেন যে অভিনেতার জীবন অনেকবার সম্পর্ক গড়েছে এবং ভেঙেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী’র সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নিতে চান।
বলা বাহুল্য অভিনেতার প্রথম স্ত্রী আর কারোর কাছে অজানা নয় কারণ তিনি টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। এই অভিনেত্রী প্রসেনজিতের ছোটবেলার খুব ভালো বন্ধু কিন্তু কোন কারনে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আর দেখাও হয়নি কথাও হয়নি দুজনের মধ্যে।
তাই তিনি মনে প্রাণে চাইছেন পুরনো সম্পর্ক যেন আবার ঠিক হয়ে যায়। অর্থাৎ সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক যেন ফিরে আসে দুজনের মধ্যে। আসলে যে সময় দুজন বিয়ে করেছিলেন তখন দুজনেরই কেরিয়ার ছিল তুঙ্গে। প্রসেনজিৎ আশা করেছিলেন বিয়ের পর দেবশ্রী সংসারের দিকে বেশি মন দেবেন। আর এই নিয়ে হয়েছিল মন কষাকষি যা থেকে দুজনে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
অনেকে আবার টলিউডের গোপন কানাঘুষো সামনে এনে ফেলেছেন।টলিউডের ওপেন সিক্রেট হিসেবে অনেকেই বলে থাকেন যে প্রসেনজিৎ আর অর্পিতার মধ্যে সম্পর্ক অনেক দিন আগেই অবনতি ঘটেছে তবে সেটা তারা সকলের সামনে অভিনয় দিয়ে ম্যানেজ করে থাকেন। অর্পিতা অধিকাংশ সময় দিল্লিতে থাকেন আর প্রসেনজিৎ কলকাতায়।তাই দুজনের মধ্যে যে সুখী দাম্পত্য রয়েছে সেটা বলা যায় না। বুম্বাদার হেটার্সরা বলছেন যে লজ্জায় হয়তো চতুর্থ বিয়েটা করতে পারেননি।