আজকাল বাংলা সিরিয়ালের ক্ষেত্রে এমন অনেক দেখা যায় যেখানে ধারাবাহিক যতটা জনপ্রিয় ঠিক ততটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে প্রতিটি চরিত্র। গুনে গুনে যেকোন একটা বা দুটো চরিত্রকে নয় বরং দর্শকরা সবকটা চরিত্রকে ভালোবেসে ফেলে। তেমনি একটি ধারাবাহিক হয়ে উঠেছিল করুণাময়ী রানী রাসমণি। হ্যাঁ, সম্পূর্ণ আধ্যাত্মিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই ধারাবাহিক সেই সময় বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল জনমানসে।
আর এই ধারাবাহিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। তিনি “পদ্মমণি” চরিত্রটিতে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। জি বাংলা দিয়েই নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন এই নায়িকা। সুবর্ণলতা সিরিয়ালে অভিনয়ের সময় মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়তেন তিনি।
রানী রাসমণি ধারাবাহিক শেষ হবার পর এই মুহূর্তে দিয়া অভিনয় করছেন গোধূলি আলাপ ধারাবাহিকে। নায়ক কৌশিক সেনের বোন তৃষার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে এই সুন্দরী অভিনেত্রীকে। পদ্মমণি যেখানে ছিল ঝগড়ুটে সেখানে আবার এই তৃষা ভারী শান্ত চুপচাপ। আজ এই অভিনেত্রীকে নিয়ে এক গোপন তথ্য ফাঁস করবো আমরা।
রাত তিনটে অবধি কেন ব্যস্ত থাকেন রানী রাসমণি ধারাবাহিকের পদ্ম? সারাদিন শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পর করুণাময়ী রানী রাসমনি ধারাবাহিকের পদ্মমণি কী করেন? জানলে অবাক হবেন আপনিও।
দিয়া চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন তিনি নে’শায় আসক্ত। রাত জেগে ঘুমের ক্ষতি করেও এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে বেড়ে যায় প্রায় রাত তিনটে। এমন কোন নে’শা করেন তিনি যে রাত তিনটে বেজে যায়?
নায়িকা যে নেশায় আসক্ত সেটা আজকাল বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে পেয়ে বসেছে। না, মাদ’কদ্রব্যের নে’শা নয় সেটা। এটা হলো ফোনের নেশা। মাদকের নে’শার থেকেও চরম ক্ষতিকারক এই নে’শা। তবুও নে’শা থেকে বের হতে পারছেন না দিয়া। ফোনের নে’শায় গভীর রাত পর্যন্ত ডুবে থাকা দিয়া চক্রবর্তী কী করেন ফোনে সারা রাত জেগে? এক সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করতেই সরাসরি জবাব দিয়ে দিলেন রাসমণি ধারাবাহিকের এই নায়িকা।
উত্তর হল গেম। পাবজি খেলতে ভীষণ ভালবাসেন নায়িকা। আর সেটাই যে নে’শায় পরিণত হবে সেটা তিনি নিজেও আগে বুঝতে পারেননি। এই পর্দা ফাঁস হলো দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে। সহকর্মীরা জানান যে এই গেম খেলার সময় এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে কোথায় কে কী বলছে কে ডাকছে কোন কিছুই শুনতে পান না তিনি। রচনা আফসোস করে বলেন তাঁর ছেলেও এই একই নেশায় পাগল।