পুজোর মধ্যে এটা সেটা খাওয়া তো চলেই তবে সেই সঙ্গে বাড়িতে অনেকেই নতুন নতুন রান্না করতে ভালোবাসে। বেশিরভাগ মানুষ এই সময়ে নিরামিষ পদ নয় বরং আমিষের দিকে বেশি ঝোঁকে। পূজার পাঁচটা দিন পাঁচ রকম দুবেলা করে চাই।
আসলে অনেকেই আছে যারা পূজার পাঁচটা দিন দুই বেলা বাইরে না খেয়ে বরঞ্চ একটা বেলা বাড়িতে জমিয়ে খেতে চায়। অনেকের বাড়িতে সেই সময় অতিথিরা আসে তাই অতিথি আপ্যায়নে বিশেষ রান্না তো করতেই হবে। তাই আজকের জন্য আপনাদের দিলাম আমরা নবমী স্পেশাল একটি রেসিপির আইডিয়া। বিরিয়ানি ভালোবাসা না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না এখন। তাই আজ একটা অন্য রকমের বিরিয়ানি রইল আপনাদের জন্য। দুপুরে অথবা রাতের খাবারে এটা সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। সঙ্গে রায়তা বা চিকেন অথবা মাটনের কোনও একটা পদ থাকলেই হবে।
উপকরণ: মাটন দেড় কিলোগ্রাম, বাসমতী চাল ৫ কাপ, সাদা তেল দেড় কাপ, পেঁয়াজ ৩টি, রসুন বাটা ২ চা চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো ৪ চা চামচ, লবঙ্গ ১০টি, এলাচ ১০টি, গোলমরিচ ১০টি, জিরে ২ টেবিলচামচ, দারুচিনি ৫টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, বড় এলাচ ৪টি, তেজপাতা ৫টি, দই ২৫০ গ্রাম, কাঁচা লঙ্কা ৬টি, ধনেপাতা ২ টেবিলচামচ, নুন স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: টক দই, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো, গরমমশলা, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও নুন দিয়ে মাটনটা প্রথমে ম্যারিনেট করে রাখুন। চালটা আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখবেন। নুন, গরম মশলা, শাহি জিরে ও গোটা গোলমরিচ দিয়ে ভাতটা অর্ধেক রান্না করুন। এ বার ম্যারিনেটেড মাটনের উপরে ধনে গুঁড়ো, অল্প জিরে গুঁড়ো, গোটা কাঁচা লঙ্কা (মাঝখান থেকে চিরে), গোটা গরমমশলা দিয়ে মেখে নেবেন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে মাটনের মধ্যে অর্ধসিদ্ধ চালটা দিয়ে দিন। উপর থেকে ঘি, সাদা তেল, ধনে পাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, বেরেস্তা দিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে দেবেন। ঢাকনাটার মুখ আটার মণ্ড দিয়ে আটকে সিল করে দমে বসিয়ে দেবেন। অন্ততপক্ষে ৪০ মিনিট রাখুন। ব্যাস রেডি খানদানি বিরিয়ানি।