জি বাংলা এখন মিঠাইয়ের টিআরপি অনেকটাই কমে গেছে।তার সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে জগদ্ধাত্রী এবং গৌরী এলো। নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে মা দুর্গার রূপ দুই ধারাবাহিককে দর্শকরা ভালোভাবেই আশীর্বাদ করছেন। অন্যদিকে গল্পে যদি নতুনত্ব না আনা হয় আর যদি প্রোমো দেওয়া না হয় তাহলে মিঠাইকে পুজোর পরেই বিদায় নিতে হবে।
অন্যদিকে গৌরী এলো তো এখন তুলকালাম সব পর্ব হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত প্রোমো দেওয়া হয় তার কারণ এর প্রযোজনা সংস্থা প্রমোর ব্যাপারে খুবই যত্নশীল। স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের এই ধারাবাহিকটি প্রথম দিকে ভালো ফলাফল না করতে পারলেও ধীরে ধীরে কিন্তু প্রথম পাঁচে সেই যে ঢুকে গেছে আর বেরোয়নি। মানুষ এই সিরিয়াল গুলো দেখতে খুব ভালোবাসে। গৌরী যখন শৈল মা আর তার বাবাকে টাইট দেয় বারবার সেগুলো দেখে মানুষের মনে খুব আনন্দ হয়।
ইতিমধ্যেই আমরা আজকে দেখতে পেয়েছি গৌরী কিভাবে গুন্ডাদেরকে খাঁড়া হাতে শায়েস্তা করেছে।শেষে গৌরীকে থামাতে না পেরে ঈশান ঝাঁপিয়ে পড়ে তার পায়ের কাছে চলে আসে এবং ঈশানের বুকের ওপর পা দিয়ে খাঁড়া হাতে যখন জিভ বার করে ফেলে গৌরী, তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছে মহাদেবের বুকের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে আছেন সাক্ষাৎ মা কালী। এই দৃশ্য দেখে ছোট দাদু ভয় পেয়ে দৌড় লাগাবে।
অন্যদিকে মুখটাকে উদ্ধার করে নিয়ে যখন বাড়ির বাকি লোকেরা তাকে ঘোসাল বাড়িতে নিয়ে আসবে তখন মুক্তার মা মেজ কাকিমা যে শৈল মায়ের অন্ধভক্ত সে মুক্তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করবে। শৈল মা এখানেও গৌরীকে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করবেন কিন্তু গৌরী সবটা বলে দেবে আর শৈল মা চুপ হয়ে যাবে।
তারপর যখন মুখটাকে তার মা বারবার জিজ্ঞাসা করবে যে তুই আজ স্কুল যাসনি? সেটা শুনে অবাক হয়ে যাবেন নেটিজেনরা যারা গৌরী এলো একদম নতুন দেখছেন তারা। এত বড় একটা মেয়ে স্কুলে পড়ে এটা ভাবতেই তাদের কেমন লাগছে। তারা বলছেন যে এই চরিত্র তো আরো অনেকে নেওয়া যেতে পারতো যারা সত্যিই স্কুলে পড়ে। তিথি বসুকে নেওয়া যেতে পারত, যে মেয়েটি সতী সাজতো তাকে নেওয়া যেতে পারতো, আবার ঐশী ভট্টাচার্যকে নেওয়া যেতে পারতো। কিন্তু অলিভিয়া মালাকারকে কোন দিক দিয়ে দেখলে মনে হয়না স্কুলে পড়ে।
তবে সামনে কাহিনী আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে কারণ এখন মুক্তার মাও শৈল মা’র টীম ছেড়ে টীম গৌরী হয়ে যাবে। তাই এখন প্রত্যেকদিন দেখতেই হবে গৌরী এলো।