টিভির পর্দায় মহালয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে চলেছিল একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বাংলা টেলিভিশনের সকল জনপ্রিয় চ্যানেলগুলিতে হয়েছিল মহালয়ার দিন প্রভাতী অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা গিয়েছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সব জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের। এবং অন্যান্য দেবীর ভূমিকায় ছিল সেই চ্যানেলের বিভিন্ন ধারাবাহিকের নায়িকারা।
প্রসঙ্গত জি বাংলা এবং স্টার জলসার মধ্যে চলেছিল বেশি প্রতিযোগিতা। তার কারণ বাংলা টেলিভিশনের এই দুটোই সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল। তাই জলসায় মহালয়ার অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘যা চন্ডী’ এবং এখানে দেবী দুর্গার মহিষাসুর মর্দিনী রূপে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী সোনামণি সাহাকে।
উল্টোদিকে জি বাংলার অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা গিয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগতে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকে। শুভশ্রীর দূর্গা সাজের ঝলক বের হতেই ভেসে এসেছিল অনেক রকমের সমালোচনা এবং কটাক্ষ। তাছাড়া পরপর দুবছর শুভশ্রীকে দেবী দুর্গার রূপে সজ্জিত হওয়া নিয়েও হয়েছিল অনেক সমালোচনা।
কিন্তু তারপরেও স্টার জলসার ‘যা চণ্ডী’র থেকে জি বাংলা ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’ অনেকটাই এগিয়ে গেল। প্রসঙ্গত মহালয়ার টিআরপি তালিকা জি বাংলার সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী পেয়েছে ৫.৪ এবং স্টার জলসার ‘যা চন্ডি’ পেয়েছে ৪.১। অনেকেই মনে করছেন যে সোনামণি সাহার জায়গায় যদি সোলাঙ্কি রায়কে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যেত তাহলে হয়তো টিআরপি কিছুটা প্রভাব পড়তো।
কিন্তু অবশেষে দেখা গেল অভিজ্ঞতা এবং পারদর্শিতাকেই বেশি গুরুত্ব দিল দর্শক। টিভির মোহর চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর কাছে হেরে গেল। যতই সেখানে কিছুক্ষণের জন্য সোলাঙ্কি রায়কে দেখা গেলেও দর্শক মহালয়ার দিন জি বাংলার অর্থাৎ শুভশ্রী অভিনীত ‘সিংহবাহিনীর ত্রিনয়নী’ কেই বেশি দেখতে পছন্দ করেছেন।