সকালে জলখাবার মানেই তাড়াহুড়োতে বানানো কিছু। কারোর অফিস যাওয়ার তাড়া আবার কারোর স্কুল বা কলেজ যাওয়ার তাড়া থাকে। তাই তখন পেট ভরার মত চটপট কিছু রান্না করে দিলেই হয়। কিন্তু অনেকেই স্কুল, কলেজ বা অফিসের টিফিনে ভারী কিছু নিয়ে যেতে চান। সেক্ষেত্রে তখন তাড়াহুড়িতে যেটা জলখাবারে খাওয়া হয় সেটাই দিয়ে দিই আমরা। কিন্তু আজ আপনাদের এমন একটা রেসিপির সন্ধান দিলাম যেটা বানানো যেমন সহজ তেমন খেলেও পেট ভরবে।
ছুটির দিনে কচুরি খেতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু আলুর পুর ভরে কচুরি খেয়েছেন? আলুর খাস্তা কচুরি তৈরির রেসিপি রইলো আজ। একটু মুচমুচে কচুরি পেলে তো মন্দ হয় না সকাল সকাল। তাই এবার এটা ট্রাই করেই দেখুন একবার।
উপকরণ: ১. আলু
২. ময়দা
৩. আদা রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি
৪. কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে পাতা কুচি
৫. পাঁচ ফোঁড়ন
৬. হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো
৭. ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো
৮. পরিমাণ মত নুন
৯. রান্নার জন্য তেল
পদ্ধতি: একটা পাত্রে ১ কাপ মত ময়দা আর পরিমাণ মত নুন ও কিছুটা তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ময়ান দিয়ে নেবেন। তারপর অল্প অল্প করে জল দিয়ে ময়দা মেখে নেবেন। মাখা হয়ে গেলে সেটাকে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এই সময় আলুর পুর তৈরী করে নিতে হবে। এর জন্য প্রথমে একটা বড় মাপের আলুর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট চৌকো টুকরো করে সেগুলোকে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে কড়ায় দু চামচ মত তেল দিয়ে তাতে প্রথমে আদা রসুন কুচি ও কিছুটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেবেন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে সামান্য পাঁচ ফোঁড়ন আর পরিমাণ মত হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে দেবেন।শেষে আলুর টুকরো গুলোকে দিয়ে পরিমাণ মত নুন সহ ভালো করে মশলার সাথে মাখিয়ে রাখুন। আলু আর মশলা ভালো করে মিক্স করে নেওয়া হয়ে গেলে পরিমাণ মত জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। শেষে ঢাকনা কিছুটা ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে মিশিয়ে নিয়ে আলুর পুরটাকে ঠান্ডা করবেন। মেখে রাখা ময়দা ঢাকনা খুলে আবারও একটু ঠেসে নিয়ে সেটার থেকে কচুরির মত করে লেচি কেটে বেলে নিন। আলুর পুর দিয়ে সেটাকে মুড়ে বন্ধ করে আবারও কচুরির মত করে হালকা করে বেলে নেবেন। গ্যাসে একটা কড়া বসিয়ে তাতে বেশ খানিকটা তেল দিয়ে গরম করে আঁচ মিডিয়াম করে কচুরি গুলোকে দিয়ে ২-৩ মিনিট মুচমুচে করে ভেজে নিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন। ব্যাস রেডি আলুর কচুরি।
