২৭ জুন মাকে হারিয়ে ফেলেছেন কৌশাম্বী চক্রবর্তী (Kaushambi Chakraborty)। ১৪ জুলাই ছিল তার জন্মদিন। মাকে ছাড়া জন্মদিন কাটানোর কথা কৌশাম্বী কখনো ভাবেননি। সদ্যপ্রয়াত মায়ের স্মৃতি আজও তার মনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। মাকে ছাড়া প্রথম বছর জন্মদিন শোকস্তব্ধ সবকিছু। বিষন্ন গলায় অভিনেত্রী জানান,
“কিছুই ভালো লাগছে না। কথা বলতেও ইচ্ছা করছে না।”
কৌশাম্বীর (Kaushambi Chakraborty) এবছরের জন্মদিন আর পাঁচটা বছর থেকে আলাদা। প্রত্যেক বছর জন্মদিনের আগের রাত থেকেই চলতো উৎসব, হই-হুল্লোড়। কিন্তু এবার জন্মদিনের সবকিছুই ধূসর। জন্মদিনের নতুন পোশাকও কেনেননি অভিনেত্রী। বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি। ওই বাড়িতে গেলে মায়ের অভাব তাকে বারবার মনে করিয়ে দেবে। এবছর কোন বন্ধুবান্ধব, হই হুল্লোড় নয়। তাকে জন্মদিনের দিন জোর করে জন্মদিন পালন করায়নি। জন্মদিনের দিন ছুঁতে পারছেন না জন্মদাত্রীকেই।
এবছর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কেক কাটেননি। মায়ের হাতে রান্না করে সাজানো প্রিয় পদগুলো আর খাওয়া হবে না কখনও। জন্মদিনের বিকেলে কৌশাম্বী পৌঁছেছিলেন এক বৃদ্ধাশ্রমে সেখানে কিছু উপহার দিয়েছেন সদস্যদের হাতে। কৌশাম্বী (Kaushambi Chakraborty) বলেন, “এ বছর এটুকুই। এর বেশি আর কিছু না।” জন্মদিনের দিন মাকে কিছু বলার আছে তার? এই প্রশ্নের উত্তরে ছিল শুধুই নীরবতা। মায়ের ওপর অভিমান রয়েছে বড্ড এত তাড়াতাড়ি কেন চলে গেল। কষ্টে গলা বুজে আসে তার। তবে কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, “কিছু বলার নেই। কিছুই বলব না মাকে।”
মাকে হারানোর পর মায়ের জন্য খোলা চিঠি লিখেছিলেন কৌশাম্বী (Kaushambi Chakraborty) । তার অনুভূতি উজাড় করে দিয়েছিলেন লেখায়। লিখেছিলেন, “এই প্রথম, তোমাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তুমি নেই। অথচ, আগের দিন তুমি আমাকে দেখতে এসেছিলে। আমাদের বাড়িতে এসে কতক্ষণ ছিলে। হাসি-ঠাট্টা, গল্পে কত ভালো সময় কাটল! রাতেও মাসির সঙ্গে তুমি অনেক কথা বলেছ। সেই তুমি হঠাৎ করে নেই! তুমি কি কোনভাবে টের পেয়েছিলে মা? তাই তোমার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেষ বারের মতো দেখা করে গেলে? তুমি জানো, বাবার শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। তোমার মতো করে বাবাকে এবার কে আগলে রাখবে? বাবা যে খুব একা হয়ে গেল।”