রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের দাবি আদায়ে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন। সরকার থেকে চব্বিশ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি, আর সেই কারণেই তাঁরা এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত ছয় জন জুনিয়র ডাক্তার অনশনে বসছেন, তবে তাঁদের মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের কেউ নেই। অন্যান্য হাসপাতালের ডাক্তাররাই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাঁদের দাবি যতদিন না সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে, ততদিন এই অনশন চলবে। তাঁদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে, সেই দায় সরকারকে নিতে হবে বলে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
এই অবস্থার মধ্যেই, জুনিয়র ডাক্তারদের এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিবৃতি তুলে ধরে তিনি ফেসবুকে লেখেন, “কাজে ফিরছি, কিন্তু খাবার খাবো না।” সুদীপ্তা আরও কটাক্ষ করে জানান, উৎসবের মধ্যে মানুষের ব্যস্ততার প্রেক্ষাপটে ডাক্তারদের সমস্যাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তাঁর এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক পুজো উদ্বোধনকেই আক্রমণ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক পুজো উদ্বোধনের সমালোচনা করে সুদীপ্তা বলেন, “ওটা ডাক্তারদের সমস্যা, ডাক্তাররা বুঝে নেবেন। সবাই উৎসবে ফিরুন।” এই মন্তব্যে নেটিজেনরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “সত্যিই কিছু ভালো লাগছে না,” আবার কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, “আমি ওদের জন্য ভয় পাচ্ছি।” সুদীপ্তার পোস্টে মানুষ যে ভাবে মন্তব্য করেছেন, তা থেকেই বোঝা যায় যে, অনেকে জুনিয়র ডাক্তারদের এই পদক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। একইসঙ্গে পুজোর উৎসবমুখর পরিবেশেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। এই ঘটনার পর ট্রোল পুলিশরা রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এই প্রসঙ্গে, অন্য অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “চোখের সামনে খুনি সরকার দুর্গাপুজোর উৎসবের উদ্বোধনে ব্যস্ত, আর আমরা চুপ কেন?” শ্রীলেখার এই মন্তব্যও ডাক্তারদের প্রতি সরকারের উদাসীন মনোভাবকেই নির্দেশ করে।
আরও পড়ুনঃ চার হাত এক হওয়ার আগেই ভাঙল নাকি সম্পর্ক! দিয়ার পরে সুরভির সঙ্গেও অভিষেকের গভীর প্রেমে ফাটল
সার্বিকভাবে, ডাক্তারদের এই আন্দোলন এবং সরকারের নিরবতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ বিতর্ক বাড়ছে। যেখানে সাধারণ মানুষ উৎসবে মেতে উঠছেন, সেখানে একাংশ ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়ার দাবি তুলেছেন।