সম্প্রতি আরজি করের নারকীয় ঘটনার পর গোটা বাংলায় প্রতিবাদের স্রোত বইছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন তারকারাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তবে, আন্দোলনের অগ্রভাগে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, তিনি হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ডাক্তারদের মধ্যে একজন বিশেষভাবে লক্ষণীয় তিনি হলেন ডাক্তার-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। তাঁর নেতৃত্বে জুনিয়র ডাক্তাররা যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সপাট জবাব দিলেন অভিনেতা ডাক্তার কিঞ্জল!
শনিবার রাতে কিঞ্জল যখন জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্ণা মঞ্চের ছবি শেয়ার করেন, তখন সেই ছবিতে দেখা যায়, বেশিরভাগ ডাক্তার বই নিয়ে বসে আছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন অনশনকারী মুখে হাসি নিয়ে বসে ছিলেন, যেন কোনো কষ্টই নেই। কিঞ্জলের এই পোস্টে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, “কোনো এক সেলিব্রিটি লিখেছে দেখলাম, বন্দুক অন্যের কাঁধে দিয়ে সব প্রচার এর মুখ হতে চাইছে।” কিঞ্জল এর উত্তরে লেখেন, “লিখতে দিন না।” তবে এই মন্তব্যের জবাব আসতে বেশি সময় লাগেনি। একজন আরেকটি মন্তব্য করে বলেন, “এরা জুনিয়রদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
এদিকে, অন্য একটি মন্তব্যে একজন ব্যক্তি বলেন, “আমাদের সকলের উচিত আপনাদের ধন্যবাদ জানানো। রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, আপনাদের লড়াই আমাদের সকলের লড়াই।” এই মন্তব্যগুলো আন্দোলনের চিত্রকে আরও উজ্জ্বল করেছে এবং সেখানকার ডাক্তারদের জন্য সমর্থন প্রকাশ করেছে। তৃতীয় একজন লিখেছেন, “ভীষণ একটা অস্থিরতা হচ্ছে। তোমরা সুস্থ থাকো। জয়ী হও।”
প্রতিবাদকারী ডাক্তারদের নাম এবং তাদের শারীরিক অবস্থাও কিঞ্জল তার পোস্টে শেয়ার করেছেন। গোটা বাংলার দৃষ্টি এখন তাঁদের দিকে। অন্যদিকে, শাসক দল দুর্গা পুজোর মরশুমে ‘উৎসবে ফেরা’র প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও, জুনিয়র ডাক্তারদের অদমনীয় মনোভাব কুর্নিশ পাচ্ছে। রবিবার সকালে সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা আন্দোলনকে সমর্থন দিতে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুনঃ এখন তো মন্ডপে অঙ্কন প্রতিযোগিতা চলছে, ডাক্তারদের সমস্যা, ডাক্তাররা বুঝে নেবেন! সবাই উৎসবে ফিরে যান, বিঁধলেন সুদীপ্তা!
তবে আন্দোলন চলাকালীন, প্রশাসনের তরফে ধর্ণাস্থলের কাছাকাছি বায়ো টয়লেট বসানো না দেওয়ার কারণে ডাক্তারদের সমস্যা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, ‘গ্রিন জোন’-এ বায়ো টয়লেট বসানো যাবে না। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসানো হয়েছে, যাতে কোনও বিতর্কিত দাবি সামনে না আসে। সব মিলিয়ে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখন বাংলা রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।