জি বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠাই। মিঠাই মানেই খুশির ছোঁয়া মিঠাই মানেই হাসি মজা ঠাট্টা। তবে মাঝে মাঝে যে সিরিয়াস গল্প আসে না তা নয়, কিন্তু সেখানেও শিক্ষণীয় বিষয় থাকে। মিঠাই সেইজন্যেই সকলের কাছে প্রিয় কারণ এখানে হাসি মজা ঠাট্টা সবকিছুই হয়।এ সময়ে মানুষ শিখতে পারে এরকম জিনিস দেখানো হয়,কীভাবে পরিবার বেঁধে বেঁধে থাকে সেটা আমরা আমরা মিঠাই দেখেই বুঝতে পারি।
ধারাবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যারেক্টার হলো উচ্ছেবাবু। মূলত সেইই প্রধান চরিত্র। শুধু মিঠাই দিয়ে ধারাবাহিক পুরো টানা যায় না। তার প্রমাণ আমরা বিগত দুই মাসে পেয়েছি।যখন রিকি দ্য রকস্টার ছিল তখন টিআরপি কিন্তু নেমেছিল মিঠাই এর। এখন আবার ফিরে এসেছে উচ্ছে বাবু। তাই টিআরপিও ঊর্ধ্বমুখী কিন্তু জীবনে মিঠাই এর অবদান স্বীকার না করায় নেটিজেনদের গালি খাচ্ছে সে।
ধারাবাহিকে তো আমরা উচ্ছে বাবুকে শান্ত রাগী গম্ভীর দেখতে পাই। বেশি কথা বলা সে পছন্দ করে না। কাজপাগল মানুষ একটা। মিঠাই কে খুব ভালোবাসে কিন্তু সেটা মুখে কোনদিনও বলবেনা। কিন্তু বাস্তবে উচ্ছে বাবু অর্থাৎ আদৃত কীরকম জেনে নেওয়া যাক তার নিজের মা মৌসুমী রায়ের মুখ থেকে।
আমরা সকলেই জানি শনিবার নজরুল তীর্থে প্রয়াত সংগীতশিল্পী কেকের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান আদৃত রায় এবং তার ব্যান্ড পোস্টার বয়েজ। সেখানে উপস্থিত ছিল পুরো মিঠাই ফ্যামিলি এবং আদৃতের নিজের পরিবারও হাজির ছিল। এসেছিলেন আদৃতের বাবা কৃষ্ণকুমার রায় এবং মা মৌসুমী রায়। সেখানেই একটি সাক্ষাৎকারে মৌসুমী রায় জানালেন ছোটবেলায় কীরকম ছিলেন আদৃত।
ধারাবাহিকে শান্তশিষ্ট হলে কী হবে ছোটবেলায় ভীষণ দুরন্ত ছিলেন আদৃত।হাতা-খুন্তি কোনটাই বাদ পড়েনি। সব দিয়ে মার খেতেন। তবে এখন অনেকটা শান্ত হয়েছেন। বড় হয়েও তিনি মায়ের সঙ্গে দুষ্টুমি করেন।
‘বাড়িতে যখন-তখন গান গেয়ে ওঠে, তখন আমাকেই বলতে হয় এই চুপ কর। সবসময় ভালো লাগে না। আর বললে পরে রাগানোর জন্য আরও বেশি বেশি করে। আমার সঙ্গে তো উঠতে বসতে ঝগড়া লাগছে, ওর পাপার সাথে এত লাগে না’, এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে জানান আদৃতের মা। তবে একথা তিনি স্বীকার করছেন যে, ছেলের মধ্যে বড় হওয়ার পরে দায়িত্ববোধ এসেছে অনেকটাই। ম্যাচিউরিটি কম কিন্তু দায়িত্ববোধ অনেকটা বেড়েছে আমাদের উচ্ছেবাবুর।