চোখের কোণে জল লুকিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার গল্প সবার জানা থাকে না, চকচকে পর্দার আড়ালে থাকে অনেক অন্ধকার অধ্যায়। টেলিভিশনের পর্দায় যাঁদের আমরা রোজ দেখি, যাঁদের জীবনকে নিখুঁত বলে মনে হয়, তাঁদের সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে থাকে হাজারটা ব্যর্থতা, প্রত্যাখ্যান আর অপমান। হাসিমুখের আড়ালে অনেক অজানা গল্প জমা থাকে, যা সাধারণ দর্শক কোনওদিন জানতে পারে না।
ধারাবাহিকে নিয়মিত কাজ মানেই যে একটা স্থির, নিরাপদ কেরিয়ার—এই ধারণা অনেকের মনে থাকলেও বাস্তব ছবি অনেকটাই ভিন্ন। অভিনয় জগতে নিজের জায়গা তৈরি করাটা একটানা যুদ্ধের মতো। আজ যে মুখগুলো জনপ্রিয়, কাল সেগুলিই ভুলে যেতে পারে দর্শক। প্রতিযোগিতার এই রেষারেষিতে পিছিয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকেরই, তার মধ্যেই একজন হলেন অন্বেষা হাজরা।

বর্তমানে ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এর আগে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘চুন্নি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। প্রতিটা কাজেই তাঁর অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে, কিন্তু এই প্রশংসার পথটা ছিল বেশ কাঁটায় ভরা। কখনও কাজ শুরু করার পরে বাদ পড়েছেন, কখনও কোনও চরিত্র থেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
এইসব পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে অনেকেই দমে যান, কিন্তু অন্বেষা ঠিক উল্টো। তিনি মানেন, কষ্ট হয়েছে, কেঁদেছেনও, কিন্তু কখনও হাল ছাড়েননি। তাঁর কথায়, “অনেকবার ধাক্কা খেয়েছি, অনেক অপমান হয়েছে, কিন্তু আমি জানতাম আমি পারব। সেই বিশ্বাসই আমাকে ভাঙতে দেয়নি।”
আরও পড়ুনঃ চলতি বছরের শুরুতেই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মাকে বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ে গরিমা! আইএসসিতে চমকে দেওয়া রেজাল্ট করল মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা!
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “অনেকবার কেঁদেছি, কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি জানতাম, এই পথ আমার। মানসিক ভাবে নিজেকে শক্ত রেখেছি। আজ যে জায়গায় পৌঁছেছি, তা শুধুমাত্র আমার জেদের জন্য।” অন্বেষার এই কথাগুলো শুধু একজন অভিনেত্রীর কাহিনি নয়, বরং এমন একজন মানুষের লড়াইয়ের কাহিনি, যিনি কোনও দিন হেরে যেতে শেখেননি।