জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক”— বহু ভাষায় সুপারহিট অন্বেষা দত্তগুপ্ত, তবু মাতৃভাষার সুরেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ! বাংলার প্রতি তার আবেগের গল্প জানলেন গায়িকা!

বিনোদন দুনিয়ার ঝলমলে আলোয় গায়ক-গায়িকাদের পথটা কখনওই সহজ নয়। এক দিকে অগুনতি প্রতিযোগিতা, অন্য দিকে টিকে থাকার লড়াই। প্রতিভা থাকলেও সঠিক সুযোগ পেতে অনেকেরই সময় লাগে। ছোট থেকেই যে যাত্রা শুরু হয়, তা দীর্ঘ সময় ধরে পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের হাত ধরেই পৌঁছয় সাফল্যের দোরগোড়ায়। আর সেই পথেই নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন অন্বেষা দত্তও—আজ যাঁকে বাংলা ও বলিউড দুই জগতের শ্রোতাই আলাদা করে চেনেন।

কোকড়ানো চুলের মিষ্টি মেয়েটির প্লেব্যাকে হাতেখড়ি হয়েছিল ‘সা রে গা মা’র ছোটদের রিয়্যালিটি শোয়ে। সেখান থেকেই শুরু তার সুর-জয়ের পথ। এরপর সোজা মুম্বইয়ে পাড়ি। একের পর এক রিয়্যালিটি শোতে পারফর্ম করতে করতেই নজরে পড়েন সঙ্গীত পরিচালকদের। তারপরই আসে জীবনের মোড় ঘোরানো সুযোগ—‘গোলমাল রিটার্নস’-এর ‘থা কারকে…’। প্রথম বলিউড গানেই নজর কাড়েন তিনি।

“রোশনি এলো” (প্রলয়) থেকে “সারাটা দিন” (যোদ্ধা)—বাংলার একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। একই সঙ্গে “জিনা মরনা” (দো লফজোঁ কি কহানি)-র মতো বলিউড ছবিও পেয়েছে তার কণ্ঠের ছোঁয়া। ভোজপুরি, পঞ্জাবি, মরাঠি, নেপালি, গুজরাতি, তামিল, তেলুগু—অসংখ্য ভাষায় গান করে তিনি আজ সত্যিই বহুভাষিক শিল্পী। তবে নিজের সাফল্যকে নিয়ে তার ভাবনা খুবই মাটির কাছাকাছি—“একটা গান হিট হওয়া নয়, টিকে থাকাটাই আসল।”

সাম্প্রতিক সময়ে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ ছবিতেও গান করেছেন তিনি। আর বাংলা নিয়ে তার আবেগ আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। অন্বেষার কথায়, “বাংলা ইন্ডাস্ট্রি আমার নিজের বাড়ির মতো। আমার মাতৃভাষায় গান করার আনন্দই আলাদা।” বহু ভাষায় গান করলেও বাংলা গানেই তিনি পান মানসিক শান্তি আর নিজের মানুষের ভালোবাসা।

অন্বেষা মনে করেন, ক্যারিয়ারের আসল সৌন্দর্য ধারাবাহিকতায়। ওঠা-নামা থাকলেও কখনও থমকে যাননি তিনি। তাই ভবিষ্যতেও শ্রোতারা তার কণ্ঠে আরও বহু নতুন গান শুনবেন নিশ্চিতভাবেই। সুরের এই পথচলা তার কাছে যেমন আবেগের, তেমনই অনুপ্রেরণার—আর সেই যাত্রা এখন আরও নতুন রঙে ফুটে ওঠার অপেক্ষায়।

Piya Chanda