জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ধারাবাহিক না করলে আমাকে কেউ ডাকত না, সারাটা বছর শুধু কাজের মধ্যেই থাকতে চাই!” জীবন নিয়ে অকপট আরাত্রিকা!

পুজোর মুখে চারপাশে সবাই যখন কেনাকাটার ব্যস্ততায় ডুবে, তখন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ আরাত্রিকা মাইতি রয়েছেন একেবারেই ভিন্ন ছন্দে। একের পর এক ধারাবাহিক ও ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ব্যক্তিগত প্রস্তুতির সময়ই পাচ্ছেন না। তবে ব্যস্ততার মাঝেই নতুন সুযোগের আনন্দ, আর সর্বোপরি দেবী দুর্গার কাছে তাঁর চাওয়া একটাই সারা বছর যেন কাজের ধারা বজায় থাকে।

সম্প্রতি আরাত্রিকা শুরু করেছেন তাঁর নতুন ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাটা’-র কাজ। রাতদিনের শ্যুটিং, কখনও আবার ডাবল ইউনিট—এই ব্যস্ততাতেই কাটছে তাঁর সময়। পুজোর ছুটি মিলবে কি না, সে নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে অভিনেত্রীর মতে, “ধারাবাহিক নতুন, তাই এখন প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। তিন-চারদিন হয়তো ছুটি মিলতে পারে, কিন্তু তার বাইরে অনুষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের কাজও রয়েছে।” ফলে পুজোর আগে কেনাকাটা বলতে ভরসা রাখতে হচ্ছে কেবল অনলাইন শপিং-এর ওপর।

কাজের ব্যস্ততার মাঝেই কখনও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে শৈশবের স্মৃতিতে। ঝাড়গ্রামে বেড়ে ওঠা আরাত্রিকার কাছে তখনকার পুজো ছিল একেবারে আলাদা স্বাদে ভরা। বাড়ির পাশেই বড় মণ্ডপ, সারাদিন পাড়ার আড্ডা আর একসঙ্গে আনন্দ এই ছিল তাঁর কাছে পুজোর মূল আকর্ষণ। তবে এখন আর তেমন ইচ্ছে হয় না সেখানে ফেরার। কারণ, যাদের সঙ্গে সেই দিনগুলো কেটেছিল, তারা আজ ছড়িয়ে পড়েছে ভিন্ন শহরে ভুবনেশ্বর, বেঙ্গালুরু কিংবা অন্যত্র। ফলে সেই আগের টানটা আর নেই।

ছোটপর্দার পাশাপাশি এবার বড়পর্দায়ও নিজের জায়গা তৈরি করছেন আরাত্রিকা। খুব শীঘ্রই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। এখানেই শেষ নয়—পুজোর পর আরও একটি ছবির শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতিও চলছে। অভিনেত্রীর কথায়, “অনেক সময় ধারাবাহিক করার পাশাপাশি ছবি করার সুযোগ পাওয়া যায় না। আমি সেই সৌভাগ্য পেয়েছি। ধারাবাহিকই আমাকে কাজের সুযোগ এনে দিয়েছে।”

মাত্র আঠারোর গণ্ডি পেরিয়েও আরাত্রিকা আজ বিনোদন জগতের পরিচিত নাম। টেলিভিশনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি সিনেমাতেও কাজ করছেন সমানতালে। শিগগিরই দিব্যজ্যোতি দত্তের সঙ্গে তাঁর নতুন ছবির গান মুক্তি পেতে চলেছে, যা নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি নিজেও। আরাত্রিকার একান্ত চাওয়া, এই ব্যস্ততা যেন সারাবছর চলতেই থাকে। তাঁর কথায়, “ধারাবাহিক না করলে হয়তো আমাকে কেউ ডাকত না। কাজের মধ্যে থাকতে চাই সবসময়। ঠাকুরের কাছে এটাই আমার একমাত্র প্রার্থনা।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page