জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ (kon Gopone Mon Bheseche)। আজকাল টিআরপি লড়াইয়ে যেখানে সদ্য শুরু হওয়ার ধারাবাহিকগুলি টিকতে পারছে না, সেখানে অনেকটা পথ পেরিয়েছে এই ধারাবাহিক। অথচ শেষ মুহূর্তে এসে যেন আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে ভিন্ন কারণে। দীর্ঘদিন ধরে দর্শকরা এই ধারাবাহিকে শ্যামলী চরিত্রে ‘শ্বেতা ভট্টাচার্য’কে (Sweta Bhattacharya) দর্শক বেশ ভালোবাসা দিয়েছেন। আগষ্ট মাসের শেষ দিনেই ছিল এই ধারাবাহিকের অন্তিম পর্বের শুটিং। বিদায়ের আবেগে ভরা ছিল ইউনিটের পরিবেশ।
যেখানে ক্যামেরার পেছনের মানুষ থেকে শুরু করে ফ্লোরের কর্মীরা পর্যন্ত শ্বেতাকে ঘিরে আবেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই আবেগঘন মুহূর্তও আটকে রাখতে পারেনি সমালোচনার ঝড়, বিশেষ করে শ্বেতার ব্যক্তিগত জীবন এবং স্বামী রুবেলকে নিয়ে। শুটিং ফ্লোরে রুবেলের উপস্থিতি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই কটাক্ষ করে লিখেছেন, “রুবেলকে দেখলেই বিরক্ত লাগে, যখন তখন সেটে গিয়ে বসে থাকে।” কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি আদৌ নিজের কাজে মন দেন নাকি শুধুই স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চান।
অনেকে মনে করছেন, রুবেল শ্বেতার জনপ্রিয়তাকেই ভর করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। এমনকি কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, “বাড়িতে স্ত্রীকে দেখে মন ভরে না বলে কি সারাক্ষণ সেটেই হাজির থাকতে হয়?” অন্যদিকে, শ্বেতা-রুবেল জুটি বাস্তব জীবনে যেমন জনপ্রিয়, তেমনই নানান বিতর্ক নিয়েও প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন। একাধিক সাক্ষাৎকারে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, কাজের ফাঁকে একসঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন, শুটিং শেষে একসঙ্গে বাড়ি ফেরেন, এমনকি সেটে রুবেল এলে সবাই তাকে জামাই বলে মজা করে অভ্যর্থনাও জানায়।
তবে দর্শকের একাংশের চোখে এই খোলামেলা সম্পর্কটাই এখন বিতর্কের খোরাক হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, একই স্টুডিওতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের শুটিং স্পট। রুবেল অভিনয় করছেন ‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকে। অন্যদিকে শ্বেতা অভিনয় করছিলেন ‘কোন গোপনে’তে। ফ্লোর আলাদা হলেও তারা একে অপরের চোখের আড়াল করেন না। বর্তমানে সমাজ মাধ্যমে এমনও বলা হচ্ছে, রুবেলের প্রতিভা যতটা না আলোচনা তৈরি করেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে শ্বেতার সঙ্গে সম্পর্ক।
আরও পড়ুনঃ একদিকে সতীনাথের শারীরিক লড়াই, অন্যদিকে অপুর মায়ের সামনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অপর্ণা-আর্য! মাথা ঠিক রাখতে না পেরে চড় মারলেন মেয়েকেই! পারিবারিক সম্মান বনাম হৃদয়ের টান, কোন পথে অপুর ভবিষ্যৎ?
অনেকেই বিশ্বাস করেন, যদি এই সম্পর্ক না থাকত, তবে তিনি এত সহজে দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রে আসতেন না। ফলে, ভালো অভিনয় করলেও সমালোচনার কাঁটা যেন তাকে তাড়া করছে প্রতিনিয়ত। সব মিলিয়ে ধারাবাহিকের শেষ শুটিং, শ্বেতার বিদায়, এবং দর্শকদের আবেগ— এসবের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে রুবেলকে ঘিরে এই তীব্র সমালোচনা। টলিপাড়ায় এখন প্রশ্ন, শ্বেতার সাফল্যের আড়ালে রুবেলের অবস্থান আসলে কোথায়? সত্যিই কি রুবেল শ্বেতার জন্যই জনপ্রিয়?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।