জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা সতীনাথের সঙ্গে দেখা করতে যায়। সদ্য জ্ঞান ফেরা সতীনাথ অপর্ণা কে দেখে চোখ বন্ধ করে নেন। উল্টো দিকে অপর্ণা জানায়, কতটা চিন্তায় পড়ে গেছিল তারা। হঠাৎ অপর্ণা লক্ষ্য করে, বাবার চোখ দিয়ে জল বেরোচ্ছে। বুঝতে পারে অপু যে, নিশ্চয়ই তার কোনও কথায় বাবার মনে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসক জানায় এই মুহূর্তে সতীনাথকে বেশি বিরক্ত না করতে।
অপর্ণা বাইরে বেরিয়ে এসে নিজের মাকে যেতে বলে। ওদিকে সিংহ রায় বাড়িতে মানসী রাত-বিরাতে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে, জামা-কাপড় গুছিয়ে সুটকেস নিয়ে নিচে নামছে। অর্ক অনেক আটকানোর চেষ্টা করলেও সে শুনছে না। অর্ক নিজের মা অর্থাৎ রাজলক্ষ্মীকে বলে, সে যেন মানসীকে আটকায়। কারণ তার উপর রাগ করেই সে বাড়ি ছাড়ছে। রাজলক্ষ্মী বিস্তারিত জানতে চাইলে অর্ক বলে, মানসীর কথায় তাকে প্রতিদিন অপমান করা হয়।
বাড়ির কোনও বিষয়ে তাকে জানানো হয় না, এমনকি জানার চেষ্টা করলেও তাকে দূরে থাকতে বলা হয়। রাজলক্ষ্মী মানসীকে না থামিয়ে, উল্টে সাবধানে যেতে বলেন। মানসী এতে আরও রেগে যায়, শেষে অনেক কষ্টে অর্ক পরিস্থিতি সামলায়। অন্যদিকে রুম্পা অপর্ণাকে বলে, আর্য স্যার অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে। একবার
যেন অপর্ণা দেখা করে নেয় তার সঙ্গে। সেই মতো অপর্ণা গিয়ে আর্যকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কথা দেয় সমস্ত টাকার ঋণ শোধ করে দেবে।
সতীনাথের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে অপর্ণার মা, মেয়ের নামে প্রশংসা করতে থাকে। রুম্পা মুখ ফসকে বলে ফেলে, অপারেশনের টাকা আর্য দিয়েছে, অপর্ণা জোগাড় করেনি। এমনকি এটাও বলে ফেলে রুম্পা, যে উনি বাইরে অপেক্ষা করছেন। অপর্ণার মা নিজের স্মৃতির সিঁদুর বাঁচানোর জন্য আর্যকে কৃতজ্ঞতা জানাতে যেতে চায়। অত বড় কোম্পানির মালিক হয়েও যে তিনি একজন সামান্য কর্মচারীর পাশে দাঁড়িয়েছে, এটার জন্যই ধন্যবাদ জানাতে চান তিনি।
আরও পড়ুনঃ ছুটির দিনেই টলিপাড়ায় ঘটে গেল চরম অঘটন! কপালে ক্ষত চিহ্ন, এলোমেলো চুল, আহত রাজপত্নী শুভশ্রী গাঙ্গুলী! কী করে হলো এই দুর্ঘটনা লেডি সুপারস্টারের সঙ্গে?
রুম্পা অনেক আটকানোর চেষ্টা করলেও তিনি শোনেন না। বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান, অপু-আর্য ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছে। আর্য অপুর চোখের জল মুছতে মুছতে বলছে ভালোবাসার ঋণ সারা জীবনেও শোধ করা যায় না আর অপুও বলছে সারা জীবন আর্যকে ভালোবেসে যাবে। নিজের রাগ আর ধরে রাখতে পারেন না অপর্ণার মা। মেয়ের গালে গিয়ে সোজা একটা চড় বসিয়ে দেন। এদিকে আবার কিঙ্কর ফোন করে মীরাকে সতর্ক করে, ভবিষ্যতে আর এমন হটকারী সিদ্ধান্ত না নিতে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।