জি বাংলা, স্টার জলসা থেকে শুরু করে সব চ্যানেলেই আসছে নতুন সিরিয়াল। সেই সুযোগে বন্ধ হচ্ছে পুরনোগুলো। কারণ সেই জায়গা দিতে হবে নতুনকে। কালের নিয়ম এটাই। এবার আবার খারাপ খবর। একটা নয়, একসঙ্গে এতগুলো সিরিয়াল বন্ধ করবে চ্যানেল। সবই কি টিআরপি না আসার ফল?
নতুন ধারাবাহিককে জায়গা করে দিতে সরে যেতে হয় পুরোনো ধারাবাহিককে। সেই ধারাবাহিকতাতেই কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন জনপ্রিয় সব ধারাবাহিক যেমন যমুনা ঢাকি, পিলু, আয় তবে সহচরী, আলতা ফড়িং, মাধবীলতা, সাহেবের চিঠি। আবার এমনও আছে যে মাত্র কয়েক মাস চলেই ইতি টেনে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সিরিয়ালের।
গল্প শেষ হওয়ার আগেই খারাপ টিআরপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে বহু ধারাবাহিক। টিআরপি তালিকায় পারফর্ম করতে না পারলেই ধারাবাহিক বন্ধ বা সময় বদল। তিনমাস কিংবা সাত মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত ধারাবাহিক। জি বাংলা থেকে স্টার জলসা গত বছর থেকে এই বছর পর্যন্ত এই দুই চ্যানেলে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক এসেছে এটা যেমন ভালো তেমন কপাল পুড়েছে অনেকের। একটা সময় কম টিআরপি নিয়েই রমরমিয়ে চলেছে বিভিন্ন ধারাবাহিক। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। বেড়ে গেছে টিকে থাকার কম্পিটিশন।
আর এবার বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের এক চ্যানেলে একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে চার চারটি ধারাবাহিক। জানা গেছে, এই ধারাবাহিকগুলি সম্প্রচারিত হয় খুব ভালো সময়ে। সন্ধ্যে সাড়ে ছটা, সাড়ে সাতটা, আটটা এবং সাড়ে ন’টার স্লটের সিরিয়াল আর দেখতে পাবেন না।
জানা গেছে, এক বছরের গন্ডি পেরোনোর আগেই এই ধারাবাহিকগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেল। দুঃখিত দর্শকরা কিন্তু তবুও উপায় নেই। ব্যবসায়িক কারণেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত।
যে সিরিয়ালগুলো বন্ধ হবে সেগুলো সম্প্রচারিত হয় আকাশ আট চ্যানেলে। এবার বন্ধ হতে চলেছে মেয়েদের ব্রতকথা, ‘সাবিত্রী মায়ের গল্প’, সাহিত্যের সেরা সময় ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো’ ও ‘শ্রেয়সী’। দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের এই চারটি ধারাবাহিকই এবার শেষের দিকে এগোচ্ছে। টিআরপি কি মূল কারণ? হ্যাঁ, টিআরপি তালিকায় ভালো পারফরম্যান্স না করার জেরেই বন্ধ করা হবে এই ধারাবাহিকগুলি।