বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar), এটা স্বীকার করতেই হয়। চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই দর্শকমনে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। অসম প্রেম নিয়ে গড়ে ওঠা আর্য-অপর্ণার সম্পর্ক এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু, এটা নিয়েই প্রতিটা পর্বেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই জুটি নাকি দর্শকদের মনে করিয়ে দিচ্ছে ‘গোধূলি আলাপ’-এর নোলক-অরিন্দমের কথা।
যারা এর আগে মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন একই স্বাদের প্রেমের গল্পে। এই ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ নিঃসন্দেহে জিতু কমল ও দিতিপ্রিয়া রায়ের অনবদ্য অভিনয়। আর্য সিংহ রায়ের চরিত্রে জিতুর উপস্থিতি যেন এক ঝলক তাজা হাওয়ার মতো, যার অভিব্যক্তি ও সংলাপ বলার ভঙ্গিমা দর্শকদের মন কাড়ছে। অন্যদিকে অপর্ণার চরিত্রে দিতিপ্রিয়াও একেবারে বাস্তবধর্মী অভিনয় উপহার দিচ্ছেন।

তাঁদের দুজনের কেমেস্ট্রি এখন বাংলার ঘরে ঘরে আলোচনার বিষয়, সমাজ মাধ্যমেও এই জুটিকে ঘিরে বাড়ছে চর্চা ও ভালোবাসা। টিআরপি তালিকাতেও নিজের জায়গা বেশ মজবুত করছে এই ধারাবাহিক। অল্পদিনেই এত জনপ্রিয়তা পাওয়া সব ধারাবাহিকের ভাগ্যে লেখা থাকে না, অথচ এই গল্প যেন দর্শকদের মনে এক বিশেষ অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে। সব বয়সের মানুষই এই গল্পের আবেগ ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছেন।
বিশেষ করে মহিলা দর্শকদের মধ্যে আর্য চরিত্রটির জন্য রয়েছে এক আলাদা উন্মাদনা। টিভির পর্দা হোক কিংবা সমাজ মাধ্যমের কমেন্ট সেকশন, সব জায়গায় জিতুর নামে প্রশংসা ঝরে পড়ছে। সব জায়গাতেই দর্শকরা বলছেন, বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের সেরা জুটি হল জিতু-দিতিপ্রিয়া! এমনকি কেউ কেউ তাদের রসায়নকে বড় পর্দার জুটির সঙ্গেও তুলনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ বহু বছর পর বড় পর্দায় দেব-শুভশ্রী! ‘ধুমকেতু’ মুক্তির আগেই রুক্মিণীর মন্তব্য ঘিরে সরগরম! দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে দেখে কী বললেন রুক্মিণী?
সব মিলিয়ে বলাই যায়, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ শুধুমাত্র একটি ধারাবাহিক নয়, বরং ওটিটির এই নতুন যুগের বাংলা টেলিভিশনপ্রেমীদের আবেগ হয়ে উঠছে। গল্পের টানটান উত্তেজনা, অভিনয় দক্ষতা আর নির্মাতাদের যত্নে গড়ে ওঠা দৃশ্য, এই সবকিছুর মেলবন্ধনে এই ধারাবাহিক দীর্ঘদিন চলুক, এমনই চাইছেন দর্শকরা। এই জুটির যাত্রা দীর্ঘ হোক, এই প্রার্থনা এখন আমাদেরও।