এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় একের পর এক নতুন নতুন ধারাবাহিকের আগমন হয়েই চলেছে। দর্শকরা মন দিয়ে সেই সমস্ত ধারাবাহিক দেখছেন এবং নতুন নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন। এই যেমন স্টার জলসা এবং জি বাংলার পর্দায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে দুটি নতুন ধারাবাহিক জল থই থই ভালোবাসা (Jol thoi thoi Bhalobasa) এবং মিলি (Mili) ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের টিআরপিতে জলসার জল থই থই ভালোবাসা অবশ্য হারিয়ে দিয়েছে মিলিকে। কিন্তু দর্শকদের কাছে কিন্তু বেশ ভালো রকম জনপ্রিয়তাই পাচ্ছে মিলি। অভিনেত্রী খেয়ালী মন্ডলের সঙ্গে অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলালের জুটি কিন্তু বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের।
অভিনেতা আদৃত রায়ের মতো অনুভবের পথ চলা শুরু হয়েছিল বড় পর্দা দিয়ে। তারপর কাজ করেছেন বিভিন্ন ওয়েব সিরিজে। অবশেষে ধারাবাহিকে এলেন তিনি। ‘গুলদস্তা’, ‘সহবাস’-এর মতো প্রোজেক্ট এর আগে অভিনয় করতে দেখা গেছে অনুভবকে। এই মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত ‘বড়বাবু’ এবং ‘সাজঘর’ নামক দুটি ছবির শুটিংয়ে। অভিনেতার গোটা পরিবারই সিনেমার সঙ্গে সম্পর্কিত। কেউ যুক্ত পরিচালনায় কেউ রয়েছে অভিনয়ে। অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলালের বাবা-মা বোন তিনজনই এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষ।
বড় পর্দা, ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের পর হঠাৎ করে কেন ছোট পর্দাকে বেছে নিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা? এ বিষয়ে অকপটে অভিনেতা বলেন থিয়েটার দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর সিনেমা তারপর ওয়েব সিরিজ। কিন্তু টেলিভিশনকে তিনি বেছে নিয়েছেন টাকাও উপার্জনের জন্য। কারণ দিন দিন বাড়ছে খরচা শুধুমাত্র একটা সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের উপর নির্ভর করে জীবন কাটানো যায় না বলেই জানিয়েছেন এই অভিনেতা। ধারাবাহিক থেকে রেগুলার অর্থ উপার্জন করা যায় আর সেই জন্যই এই ধারাবাহিক বেছে নেন তিনি। আর নিজের জন্য অর্থ উপার্জন করতে ভীষণ ভালোবাসেন তিনি।
চাকরি করতেন মার্কেটিংয়ের দীর্ঘদিন দিল্লিতে থিয়েটার করেছেন, আর তারপর আসেন কলকাতায়। শুরু থেকেই নিজের কাজ নিয়ে ভীষণ রকম সিলেক্টিভ তিনি। অর্থাৎ বেছে বেছে কাজ করেন। কোয়ালিটি কাজ করেন। জানেন তিনি যে কাজগুলো বেছে নেন সেগুলো আমজনতার কাছে গিয়ে হয়তো পৌঁছায় না। কিন্তু দিন শেষে নিজের কাজ নিয়ে খুশি থাকেন তিনি। নিজের মনের কথাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন আর এতটাই গুরুত্ব দেন যে মন সায় দেয়নি বলে অনেক বড় বড় কাজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। টাকাও সেখানে গৌণ হয়ে পড়েছে। যদিও সিরিয়াল করে মহাখুশি অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল। যে জনপ্রিয়তা তাকে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দিতে পারেনি তা টেলিভিশন দিতে পেরেছে। আর সেই জন্যই তিনি নিজের এই সিদ্ধান্তকে জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত বলছেন।