ধারাবহিক বরাবরই ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ। আর ধারাবাহিকের পাশাপাশি যেগুলো খুব একটা সম্প্রচার হয় না, টিভিতে আসে না, রঙ্গমঞ্চ সেতো আমাদের সংস্কৃতিরই একটা অংশ। তাই এই রঙ্গ মঞ্চের এক একজন মানুষ আমাদের বাঙালিদের কাছে ভীষণ মূল্যবান শিল্পী। তাঁদের হারিয়ে ফেলা মানে শিল্পের ক্ষতি হওয়া। আর বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এরকমই একটি অপূরণ ক্ষতি করে দিয়ে গেলেন অভিনেতা অরিজিৎ ব্যানার্জি (Arijit Banerjee)।
ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি তোতা নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। আজীবন বামপন্থা রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন। তার পাশাপাশি নাট্য জগতের অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ একজন শিল্পী ছিলেন। বাংলাসহ ভারত যখন দোল পূর্ণিমা নিয়ে ব্যস্ত তখনই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে টলিউডের।
একটি দুঃসংবাদ মুহূর্তের মধ্যে সব কিছুকে ম্লান করে দেয়। হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা অরিজিৎ ব্যানার্জি। অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর জানান আর্টিস্ট ফোরামের কোষাধ্যক্ষ তথা অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমাদের বন্ধু/ভাই অরিজিৎ ব্যানার্জী (তোতা) আজ সন্ধ্যা ৬.১৯-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বি পি পোদ্দার হাসপাতালে মারা গেছে।”
এই খবর পাওয়া মাত্রই শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা টলিপাড়া। এখনও অবধি তাঁর কাছের মানুষেরা এই খবর বিশ্বাস করতে পারেননি। সোমবারই নাকি বেশ অসুস্থ বোধ করছিলেন অভিনেতা। তারপরই তাঁর বুকে ব্যাথা ওঠায় তড়িঘড়ি করে বিপি পোদ্দার হাসপাতালে এমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জানা যায় হার্ট অ্যাটাক এসেছিল তাঁর।
সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা হয়ে শেষ রক্ষা করা যায়নি। মঙ্গলবার বিকেলেই মাত্র ৪০ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন তিনি। রঙ্গমঞ্চ তো বটেই, কিন্তু ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলার দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ও ভালোবাসার মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একাধিক নাটক পরিচালনার পাশাপাশি দাপিয়ে অভিনয় করতেন ধারাবাহিকগুলোয়। রানী রাসমণি ধারাবাহিকে অভিনয় করে নিজের শিল্পী ক্ষমতার আরও একবার পরিচয় দিয়েছিলেন। টলি পাড়ার এক অপূরণীয় ক্ষতি করে গেলেন অভিনেতা অরিজিৎ।