ছোট পর্দার নিয়মিত দর্শকদের কাছে অভিনেত্রী ‘ময়না বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Mayna Banerjee) মানেই আত্মীয়ের মতো এক পরিচিত এবং স্নিগ্ধ মুখ। কখনও তিনি মায়ের চরিত্রে, কখনও বা কাকিমা হয়ে সংসারী রূপেই তাঁকে দেখে অভ্যস্ত দর্শক। শাড়ি, গয়না আর সংযত আচরণে পর্দায় তাঁর উপস্থিতি বরাবরই আলাদা করে নজর কেড়েছে। তাই সেই চেনা রূপের বাইরে গিয়ে অভিনেত্রীকে অন্য রূপে দেখ অনেকের চোখে তা স্বাভাবিক বলে ধরা পড়েনি!
এই মুহূর্তে ‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ময়না বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্তরে, সমাজ মাধ্যমের পাতাও বেশ সক্রিয় তিনি। সেখানে ঢুঁ মারলেই দেখা যাচ্ছে, ট্রেন্ডিং গানে রিল ভিডিও। কখনও একা, কখনও আবার অন্য কোনও অভিনেত্রীর সঙ্গে নাচে মেতে উঠেছেন তিনি। পর্দার বাইরের জীবনে পোশাক-আশাকে বরাবরই একটু আলাদা ভাবে ধরা দিতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী আর সেটাই অনেকের চোখে খটকা লাগছে!
সম্প্রতি মেরুন রঙের একটি পোশাকে হিন্দি গানে নেচে রিল ভিডিও পোস্ট করতেই শুরু হয় ট্রোল এবং কটাক্ষ! ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নানা ধরনের মন্তব্যে ভরে ওঠে কমেন্ট বক্স। কেউ লিখেছেন, “ঠিক আছে, কিন্তু দ্বিতীয় বার আর চেষ্টা করবেন না প্লিজ!” আবার কারও কটাক্ষ,”সব কিছুর একটা নিদিষ্ট সময় থাকে আর সেটা তখনই মানাই, বুড়া বয়সে ভীমরতি ধরছে!” এই ধরনের মন্তব্যে স্পষ্ট, অভিনেত্রীর বয়স আর আচরণ নিয়েই বেশি আপত্তি তুলেছেন অনেকেই।
ট্রোল এখানেই থেমে থাকেনি! আরও কঠোর ভাষায় কেউ লিখেছেন, “এ কি নিজেকে দেখে না? সবার সামনে এইভাবে ধিরিঙ্গি নাচ নাচে, বিকট লাগে বোঝেনা!” আবার প্রশ্নও উঠেছে, “উনার কি হইছে? এরকম করে কেন আজকাল, হঠাৎ করে এর কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো না কি?” সমাজ মাধ্যমের এই প্রতিক্রিয়াগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, পরিচিত গণ্ডির বাইরে গেলেই একজন অভিনেত্রীকে কতটা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়!
আরও পড়ুনঃ ‘মগজধোলাই হওয়া নারী, নারীবিদ্বেষী পুরুষের চেয়েও ক্ষতিকর’ ধারাবাহিক ছাড়তেই একের পর এক ঘটনা! সহ অভিনেতার বক্তব্য, নতুন নায়িকাকে পুরস্কার উৎসর্গর মাঝেই দিতিপ্রিয়ার ইঙ্গিত ঘিরে ফের তুঙ্গে জল্পনা! কাকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রীর এই পরোক্ষ খোঁচা? প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা!
পোশাক নিয়েও কম কথা হয়নি। কেউ কেউ মনে করছেন, পর্দার ইমেজ বজায় রাখাই উচিত ছিল তাঁর। সেই ভাবনা থেকেই মন্তব্য এসেছে, “কোন গানে কেমন পোশাক পরতে হয় জানেন? শাড়িতেই ভালোলাগে আপনাকে, অযথা এসব করে সন্মান নষ্ট করবেন না!” তবে এই সব সমালোচনার মাঝেও প্রশ্ন থেকেই যায়, একজন শিল্পীর ব্যক্তিগত প্রকাশভঙ্গি নিয়ে সমাজ কতটা সহনশীল হতে পারে। পরিচিত চরিত্রের বাইরে বেরোলেই কি এমন প্রতিক্রিয়াই অবধারিত? এই বিতর্ক আপাতত সেই প্রশ্নই নতুন করে সামনে আনছে।
