আমরা একটা কথা সবসময় শুনে থাকি যে যা আমরা চাই তা পাই না আর যা পেয়ে থাকি তার বেশিরভাগটাই হয়তো চাই না। এই অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই হয়েছিল তিনি যেটা পেয়েছিলেন সেটা চাননি কিন্তু পরবর্তীকালে সেটাকেই ভালোবেসে ফেললেন এবং আজ প্রচুর দর্শক ভালোবাসে এই নায়িকাকে।
বুঝতে পারলেন আমরা কার কথা বলছি? তিনি হলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী সোহিনী সান্যাল। সোহিনী টেলিভিশনের অতি পরিচিত একটি মুখ। বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে।
কিন্তু এই মুহূর্তে নায়িকা খুব বেশি সক্রিয় নন টেলিভিশনের পর্দায়। আসলে অভিনয় জগতে আসার আগে নায়িকা ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী। সেই সময়টায় কলেজে পড়ার সময় থেকে পরিবারে কিছু আর্থিক দুর্যোগ শুরু হয় যার জন্য নায়িকার মনে হতে থাকে এবার পরিবারের জন্য তাঁরও কিছু কাজ করা উচিত।
সেই থেকে তিনি মডেলিংয়ে ঢুকে পড়লেন। কলেজের বহু বন্ধু-বান্ধব সাহায্য করেছিল এবং অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল এর জন্য। কিন্তু কয়েকটা ফ্যাশন শো করার পর নায়িকার মনে হল এটা তাঁর জন্য নয়। তখন তাঁর ভরতনাট্যম নাচের স্কুলের শিক্ষিকার ছেলে তাঁকে অভিনয় জগতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। তাঁর সাহায্যেই সোহিনী গেলেন স্টুডিওতে। তারপর থেকেই একের পর এক কাজ করতে করতে সদ্য শেষ হওয়া মন ফাগুন ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে সোহিনীকে এবং বর্তমানে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়াতে।
একটা সময় নায়িকা জীবনে খুব খারাপ কেটেছে আর সেটা হল নায়িকার বাবার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ার পর। সেই সময় আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল কারণ একের পর এক প্রচুর ডাক্তার দেখানো হয়েছে এবং সেই কারণে একটা সময় নায়িকার বাবা নায়িকাকে বলেছিলেন তুই না বড় হয়ে ডাক্তার হোস। কারণ তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাড়িতে একটা ডাক্তার থাকা খুব দরকার যখন তখন বিপদে-আপদে পাওয়া যায়। বাবার শেষ সময় সেই প্রতিজ্ঞা রাখবেন বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন সোহিনী।
কিন্তু নিয়তি যেটা চায় সেটাই হয়। এরপর নবম শ্রেণীতে তিনি উঠলেন এবং বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করলেন ক্লাস টেনে মাধ্যমিকে খুব ভালো রেজাল্ট করেছিলেন সোহিনী। কিন্তু তারপরে দেখা দিলে আসল সমস্যা পারিবারিক টানাপোড়েনের মধ্যে নায়কা বুঝতে পেরেছিলেন তখন যদি তিনি সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে হয়তো মা এবং মামাকে কিডনি বেচে পড়াশোনা করাতে হতো। শেষমেষ বাধ্য হয়ে তিনি সাইন্স পড়া ছেড়ে দিয়ে কমার্স পড়লেন।