“বাপ কা বেটা সিপাহী কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া”। কিন্তু এখানে বেটা নয়, বেটি। বাবার মতই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মিষ্টি ছোট্ট মেয়ে। বাবা অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত শুধু টলিউড নয় বলিউডেরও অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা।
তবে আজ আমরা বাবা নয়, মেয়ের কথা বলব। অনেকেই হয়তো জানেন না যিশু সেনগুপ্তের মেয়ের পরিচয়। এই সিনেমাটি দেখেনি এমন বাঙালি সিনেমাপ্রেমী মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটি মাত্র সিনেমাতেই দুই মেয়ে সারা আর জারাকে একসঙ্গে নিয়ে অভিনয় করেছেন বাবা এবং অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত।
হ্যাঁ, উমা সিনেমার কথা মনে আছে? তাতে বড় মেয়ে সারা অভিনয় করেছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিনেমায়। চরিত্র খুব ছোটখাটো ছিল তেমন নয়, একেবারে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিল সে। কারণ গল্পটা ছিল তাকেই নিয়ে। মেয়েটি একটি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এবং বিদেশে থাকায় সে একবার কলকাতার পুজো দেখতে চায়। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, সে যাতে খুশি সেটাই করতে হবে তাহলে হয়তো আর কিছুদিন বেশি বাঁচতে পারে সে। অতএব তার কথামতো অফ সিজনে কলকাতায় বড় করে দুর্গাপুজো আয়োজন করা হয়। বাবার সঙ্গে বাড়িতে এসে সেই চিত্র দেখে তো সে অবাক। অবশেষে বাবার কোলেই ঢলে পড়ল চিরঘুমের দেশে। এটাই ছিল সেই গল্প। অর্থাৎ চরিত্রটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না।
View this post on Instagram
এখন পড়াশোনা করছে সারা। বাবার মতোই বড় হয়ে ভালো শিল্পী হতে চায় সে। সিনেমার পর এখন অবধি আর কোনও জায়গায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাকে। হয়তো আগামী দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু একটি মাত্র অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই সে প্রমাণ করে দিয়েছে। আগামী দিনে অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে তালিকা বাধ্য হতে চলেছে সারা সেনগুপ্ত।
View this post on Instagram
বাবা যেমন বড় অভিনেতা তেমনই মা নীলাঞ্জনা আবার বড় প্রযোজক। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণায় এখন সারা কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অভিনয় তো রয়েছে তবে তার পাশেই পড়াশোনা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রেও বেশ সক্রিয় সারা। ভরতনাট্যম, স্কেটিং, টেনিস শিখেছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র অভিনয়ের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চায় না এই ছোট্ট মেয়েটি।