জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মনের কথায় মন খারাপ করা পর্ব! চন্দনের পরকীয়ার কথা শুনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিল বিপাশা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) পুতুলের আশীর্বাদের দিনই ব্যানার্জী বাড়ি থেকে বিপাশার বাড়িতে যাওয়ার পর চন্দনের জন্য চা করার কথা বলে শিমুল। কিন্তু চা নিয়ে চন্দনের ঘরে ঢোকার সময় ফোন চন্দনের সঙ্গে মধুরিমার কথা শুনে নেয় শিমুল। কথা শুনেই মাথায় বাজ পরে শিমুলের। চন্দন যে বিপাশাকে ঠকিয়ে মধুরিমাকে বিয়ে করেছে এবং তাদের যে একটি মেয়েও রয়েছে সবটাই শুনে নেয় শিমুল।

সবটা শুনেই চমকে ওঠে শিমুল। হাত থেকে চায়ের কাপ পরে দিয়ে ভেঙে যায় তার। তাকে এই অবস্থায় দেখে চমকে যায় বিপাশার শাশুড়ি। তিনি ছুটে আসে শিমুলকে জিজ্ঞাসা করেন তার কি হয়েছে। কিন্তু শিমুল তাকে কোনও উত্তর দেয়না। আওয়াজ শুনে বাইরে চলে আসে চন্দন। শিমুলের পরিস্থিতি দেখে সে আন্দাজ করে শিমুল কিচু শুনেছে কিনা। কিন্তু কিছু বলে না মুখে। ফোনটা সদ্য কাটায় লক না করেই সে তাড়াহুড়ায় টেবিলের ওপর ফোনটা রেগেই চলে যায় রান্না ঘরে শিমুলের জন্য জল আনতে।

সেই ফাঁকেই শিমুল তার ফোন থেকে মধুরিমার নম্বর জেনে নেয় এবং তাদের মধ্যেকার কথোপকথনও পরে দেয়। তারপর চন্দন আসার আগে সে ফোনটা রেখে জল খেয়ে চলে যায় সকলের সঙ্গে কথা বলতে। সুচরিতা আর শির্ষাকে সবটা বললেও তারা বিশ্বাস করতে চায়না শিমুলের কথা। তাই তারা ঠিক করে প্রমাণ বার করবে। চন্দন প্রতি সপ্তাহে শনি আর রবিবার বাড়ির বাইরে থাকায় তারাও চন্দনের পিছু নিয়ে দেখে নেয় মধুরিমার বাড়ি। পরে একসময় চন্দন না থাকাকালীন সেই বাড়িতে ঢুকে মধুরিমা এবং তার মেয়ের কাছে চন্দনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে তারা।

সবটা জানার পর বিপাশাকে সাবধান করার নানা প্রচেষ্টা করে সকলকে মিলে কিন্তু কিছুই করে উঠতে পারেনা কিন্তু বিপাশার মনে একটা খটকা লেগেই থাকে সকলের ব্যবহার নিয়ে। পুতুলের বিয়ে মেটার পর বিপাশা সকলকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে কি হয়েছে। প্রথমে কেউ বলতে না চাইলেও বিপাশা জোর করার ফলে বাধ্য হয়ে শিমুল বলে দেয় চন্দনকের পরকীয়ার কথা। বিপাশা প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলে শিমুল তাকে বলে শনিবার চন্দনের পিছু নিয়ে দেখতে। বাড়িতে আসে বিপাশাকে এরকম দেখে চন্দনের খটকা লাগে।

সে বিপাশাকে জিজ্ঞাসাও করে তার কি হয়েছে কিন্তু বিপাশা তাকে কিছু বলেনা। তখন চন্দন তাকে বলে সে চাইলে একসপ্তাহ চন্দন বাইরে যাবে না কিন্তু সে তাকে বলে সে ঠিক আছে। পরেরদিন চন্দন বেরিয়ে গেলে তার পিছু নেয় বিপাশা। তার পিছু নিয়েই সে পৌঁছে যায় মধুরিমার বাড়ি। সেখানে গেলেই চন্দনকে মধুরিমা বলে বিপাশার বান্ধবীরা এসেছিল সেটা শুনেই চন্দন চমকে যায়। মধুরিমা চন্দনকে জিজ্ঞাসা করে সে তাদের ছেড়ে দেবে কিনা কিন্তু চন্দন বারণ করে দেয় কিন্তু সেই মুহূর্তেই চলে আসে বিপাশা। তাকে দেখে চমকে ওঠে চন্দন।

আরও পড়ুনঃ উদারতা নয় চাকরি পাওয়ার লোভেই শতদ্রুকে ভুলে ফের পরাগকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিল শিমুল! আগাম পর্বে ধামাকা

বিপাশা তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এটা করল কিন্তু তখনই চলে আসে চন্দনের মেয়ে। তাকে দেখেই বিপাশা সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় চন্দন তাকে আটকানোর জন্য তার পিছন পিছন যেতে থাকে। বিপাশা ভাবে “তাহলে কি চন্দন সন্তানের জন্য তার সঙ্গে এইরকম করল কিন্তু তাহলে তো সে বলতেই পারত আমি নিজেই চলে যেতাম তার জীবন থেকে।” বিপাশা ভাবে এইভাবে বেঁচে থেকে আর কি লাভ আমার মরে গেলেই ভালো। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের বিপাশাকে তবে নিজের জীবন দিয়ে দেবে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।