রেস্তোরায় তো আমরা নানা ধরনের পোলাও, বিরিয়ানি খেয়েই থাকি। তবে বাড়িতে যখন চলে আসে অযাচিত অতিথি! কথায় বলে মানুষের মনের রাস্তা যায় পেট দিয়েই তাহলে তাদের কি আর রেস্তোরা থেকে খাওয়ায় এনে খাওয়ালে চলে বলুন। না তো, নিজেদের লোকেদের নিজের হাতে রেঁধে বেড়ে খাওয়ানোর আনন্দটাই আলাদা। তাহলে মধ্যাহ্ন ভোজের সময় বাড়িতে অতিথি আসলে কি এমন নতুনত্ব করবেন যা খেতেও একেবারে রেস্তোরার খাওয়ারের মতো কিন্তু একেবারে ঘরোয়া।
পোলাও তো করাই যায় কিন্তু বাসন্তী বা খুসকা পোলাও তো অনেক খেয়েছেন তাহলে চলুন এবার বানানো যাক পোলাও বানানো যাক যাতে থাকবে কমলা লেবুর গুন। আর তার সঙ্গে যদি থাকে খাসির বা মুরগির মাংস বা চিংড়ি, ব্যাস তাহলে আর কথাই রইল না আপনার রান্না হবে সুপার হিট। তাহলে চলুন বানিয়ে নেওয়া যাক কমলা পোলাও।
উপকরণ:
গোবিন্দভোগ চাল: ২ কাপ
কমলা লেবুর রস: ১ কাপ
কাজু বাদাম: ১০ টি
খোয়া ক্ষীর: ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ : ১০ টি
কাঠ বাদাম: ৪-৫ টি
চিনি : আধ কাপ
ছোট এলাচ: ৪ টি
ঘি : ৪ টেবিল চামচ
লবঙ্গ : ৪ টি
নুন : স্বাদ অনুযায়ী
আরো পড়ুন:
প্রণালি:রবিবাসরীয় দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে আর ট্যাংরা মাছের ঝোল নয়, এবার বানান রসা! থালা হবে সাফ, ভরবে মন
প্রথমেই চাল ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর বেশ খানিকটা জল দিয়ে চাল ভিজিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম এবং কিশমিশগুলি ভেজে তুলে নিন। ওই ঘিতেই দিয়ে দিন গোটা গরম মশলা। গন্ধ বের হলে ভেজানো চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন কড়াইয়ে। ভাজা হলে নুন, চিনি এবং ৪ কাপ জল দিয়ে দিন তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন জলের পরিমাণ সবসময় চালের পরিমাণের থেকে দ্বিগুণ হতে হবে।
তারপর চাল সিদ্ধ হয়ে এলে তার মধ্যে খোয়া ক্ষীর, লেবুর রস এবং ভেজে রাখা কিশমিশ, কাঠ বাদাম এবং কাজুবাদামগুলি
দিয়ে দিন। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে সেটিকে ঢাকা দিয়ে রাখুন মিনিট দশেক। জল শুকিয়ে এলে এবং চাল ঝরঝরে হয়ে এলে নামিয়ে ওপরে কমলালেবুর খোসা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কমলা পোলাও।