কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি বাড়িতে প্রায় রোজই চলে নিত্যনতুন মাছের রন্ধন। রুই, কাতলা, ইলিশ তো চলেই তবে বাটা, ট্যাংরা, ভেটকি, পমফ্রেট কিংবা চিংড়ি যদি বাজার করতে গিয়ে বাজারের থলে তে ঢুকে পরে তাহলে নেহাতই মন্দ হয়না দুপুরের ভোজন। ট্যাংরা মাছ মানেই মাছের ঝোল, কিন্তু রোজ রোজ কি এই ধরনের খাওয়ার খেতে ভালো লাগে? না তো তাহলে চলুন আজ করা যাক ট্যাংরা মাছের রসা। রান্না করাও সহজ এবং খেতেও হবে দারুন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি খাসির মাংসের থেকেও ট্যাংরা মাছে বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরকে দ্রবীভূত করে। এছাড়াও আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে, শরীরে কোলেস্টেরল পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হার্টকে ভালো রাখার জন্য ট্যাংরা মাছ চাই। এছাড়াও ৩২ মিলিগ্রাম আয়রন, ১৮.৮ গ্রাম প্রোটিন, এবং ভিটামিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম থেকে ট্যাংরা মাছে। শরীরে রক্ত শূন্যতা কমায়, কাশির সমস্যা দূর করে, কফ কমায়। তাহলে চলুন দেখা যাক কি কি লাগছে ট্যাংরা মাছের রসা রান্না করতে।
উপকরণ:
আদা বাটা: ১ চা চামচ
টমেটো কুচি: ১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কালো জিরে: আধ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়া: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৬ টেবিল চামচ
ধনে পাতা: আধ কাপ
কাঁচা লঙ্কা: ৩-৪ টে
নুন: স্বাদ মতো
রন্ধন প্রণালি:
প্রথমে ভালো করে ট্যাংরা মাছটির গা পরিষ্কার করে নিন। তারপর নুন আর হলুদ ভালোভাবে ট্যাংরা মাছটিতে লাগিয়ে রেখে দিন আধ ঘন্টা। এরপর কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে গেলে মাছ গুলিকে ভেজে নিন এবং তারপর তুলে রাখুন। এবার সেই তেলেই দিয়ে দিন কালো জিরে ফোড়ন। তারপর সেই ফোড়নেই দিয়ে দিন আদা বাটা এবং টমেটো কুচি। তার সঙ্গে স্বাদ পরিমাণ নুন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। টমেটোগুলি সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিন হলুদ, জিরে, ধনে। সেগুলিকে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে তাতে দিয়ে দিন চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলি।
তারপর কড়াইয়ে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ভালো করে খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর সেটি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা ট্যাংরা মাছগুলি তাতে দিতে দিন। এরপর নামানোর আগে সর্ষের তেল এবং ধনে পাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই ট্যাংরা মাছের রসা। সত্যি বলছি খেতে কিন্তু দারুন সুস্বাদু ।