Tollywood

আমার ছবির দাম লাখ টাকা! কটাক্ষ আমার মন খারাপ করে দেয়! দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে অকপট মুখ্যমন্ত্রী

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় শো দিদি নম্বর ১। রচনা ব্যানার্জী সঞ্চালিত এই শোতে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় মেয়েদের লড়াই করে বেঁচে থাকার কাহিনী। তবে গতকালের পর্বটি ছিল অন্যান্য বারের থেকে অনেকটাই আলাদা কারণ গতকালের রবিবারের স্পেশাল পর্বে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বাংলার দিদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালের পর্বে দিদি নম্বর ১এ খেলতে এসেছিলেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী এবং সৌরভ ঘরণী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায় এবং অরুন্ধতী হোমচৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন রূপঙ্কর, ইন্দ্রনীল, সারেগামাপা খ্যাত বিধায়ক সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সী, রথিজিত, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য সহ একাধিক গানের জগতের খ্যাতনামা মুখ। দারুন খেলা, গান, রুটি করা সবই করেছেন বাংলার এই তিনজন তারকা প্রতিযোগী। এছাড়াও রচনা ব্যানার্জী নিজেও তাদের সঙ্গে রুটি বলেছেন অনুষ্ঠানে। তারসঙ্গে ছিল আদিবাসী নাচ এবং অসাধারণ সব পুরস্কার। যদিও অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি সেখানে পাঠ করেছেন স্বরচিত কবিতাগ্রন্থ “কবিতাবিতান” থেকে আমার লক্ষ্মী কবিতাটি। যা শুনে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই। এছাড়াও নিজের হাতে রুটি বেলেছেন তিনি, নাচ করেছেন আদিবাসীদের তালে ডোনা এবং রচনার সঙ্গে। স্বহস্তে বাজিয়েছেন ধামসা। তারসঙ্গে তিনি সকলকে জানিয়েছেন তার ছোটবেলার বিষয়ে। তিনি বলেছেন “আমার ছোটবেলা হারিয়ে গেছে।” বর্তমানে ব্যস্ততার যুগে বাড়ছে মানুষের মনে রোগ তাই তিনি দিদি নম্বর ১এর মঞ্চে থেকে দিয়েছেন ভালো থাকার মন্ত্র।

ছোটবেলা নিয়ে তিনি বলেছেন “আমার ১১-১২ বছর বয়স যখন আমার বাবা মারা গেছিলেন। আমার মাও তার শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফলত বাড়ির সমস্ত দায়ভার চলে আসে আমার কাঁধে। আমিই তখন গোটা পরিবারটাকে ধরে রেখেছিলাম। আর সেটা এখন আমার ভাইপো অভিষেক করছে। বাড়ির সমস্ত অনুষ্ঠানে এখন সবটাই ও করে।” তিনি এও বলেছেন বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন তাই তিনিও সেই শিক্ষাই পেয়েছেন। সেই থেকেই তার ঝোঁক রাজনীতিতে। রাজনীতিতে ভালো মন্দ দুটোই আছে। তবে আমি ভালোকেই বেছে নিয়েছি।

বর্তমানে অনলাইন ট্রোলিং নিয়েও তিনি বলেছেন “অনেকে তো অনেক ভালো কাজ করে কই সেটা নিয়ে তো প্রশংসা হয়না। কিন্তু কেউ একদিক থেকে ওদিক কিছু বললেই তাকে ট্রোল করা হয় কেন? আমি কিছু বললাম সেটাকে মিথ্যে ভিডিও বানিয়ে ট্রোল করা হচ্ছে। তবে ৬৯ বছরের দোরগোড়ায় পৌঁছে তিনি আজও দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তার এই ফিটনেসের রহস্য জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেছেন “আমি মা মাটি মানুষের লোক তারাই আমায় এনার্জি দেন। আমি বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে ভালবাসে। মন খারাপে আমি বলবো তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে। এছাড়াও হাঁটা খুব প্রয়োজন। যত পারবেন হাঁটুন।”

আরো পড়ুন: মনের কথায় মন খারাপ করা পর্ব! চন্দনের পরকীয়ার কথা শুনে আত্ম’হ’ত্যা’র সিদ্ধান্ত নিল বিপাশা

তিনি এও বলেছেন “আমি সারাদিন হাটি আর সেটাতেই আমার মাথা খোলে।” তবে শুধু তাই নয় তিনি অঙ্কনেও পারদর্শী একইভাবে। তার আঁকা এক একটি ছবি বাজারে বিক্রি হয় আকাশছোঁয়া দামে। তাই এইদিন তিনিও রচনা ব্যানার্জীকে একে দিয়েছেন একটি ছবি। তাতে নিজের স্বাক্ষরও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং বলাই যাচ্ছে গতকালের পর্বটি শোয়ের যে টিআরপি বাড়াবে অনেকটাই তাতো বলাই বাহুল্য।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী।