জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বুদ্ধিতে কেল্লাফতে করল আনন্দী! ধারাবাহিকের পর্ব জমে ক্ষীর

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ (Anondi) একের পর এক রোমাঞ্চকর গল্পে মোড় নিচ্ছে, যা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করছে। ধারাবাহিকের গল্প ক্রমশ টিআরপি তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। গত পর্বে দেখা যায়, আনন্দী পার্টিতে অজান্তে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এই কারণে আদি তার ওপর রেগে যায়। আদির ধারণা হয়, আনন্দী ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে। কিন্তু আনন্দী কিছুতেই আদিকে বোঝাতে পারে না যে সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চৈতি নেপথ্যে থেকে আনন্দীর ড্রিংকে অ্যালকোহল মিশিয়ে দিয়েছে, যা কেউ বুঝতে পারেনি। আনন্দী চৈতিকে সন্দেহ করলেও প্রমাণের অভাবে কিছু করতে পারে না। আদির দেওয়া সময়ের মধ্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নেয় আনন্দী।

Zee Bangla, Anondi, Bengali Serial, Serial Update, Anondi 6th November Episode Update, Television, Entertainment, জি বাংলা, আনন্দী, বাংলা সিরিয়াল, আনন্দী আজকের পর্ব ৬ নভেম্বর, বিনোদন, টেলিভিশন

আনন্দী আজকের পর্ব ১১ নভেম্বর (Anondi Today Episode 11 November)

আজকের পর্বে দেখা যায়, আনন্দী বিভিন্ন পরিকল্পনা করে চৈতির মুখ থেকে সত্যি কথা বের করার চেষ্টা করে। এই কাজে তাকে সবাই সাহায্য করতে থাকে। তনুশ্রী নিজের শাশুড়ির সামনে আনন্দীর নামে নানা মিথ্যা কথা বলে এবং আশা করে তার শাশুড়ি সেগুলো বিশ্বাস করবে। এতে করে চৈতি সত্যি ফাঁদে পড়বে এবং মিথ্যের জাল ছিন্ন করে সত্যি বলে ফেলবে। এই পরিকল্পনায় আনন্দী এমন এক ভন্ড সাধুবাবার কথা বলে যে সমস্ত সত্যি জানে। এই কথায় প্রথমে চৈতি পাত্তা না দিলেও পরিস্থিতি ক্রমশ তার ওপর চাপ বাড়ায়।

পরে দেখা যায়, বাড়িতে সেই ভন্ড বাবা এসে উপস্থিত হয় এবং তনুশ্রী যে আনন্দীর হাত থেকে প্লেটটি ভেঙে ফেলে সেটা ধরতে পারে। আসলে এই সবকিছু আনন্দীর আগে থেকে তৈরি করা পরিকল্পনার অংশ ছিল। বাড়ির সবাই এই ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যায় এবং চৈতির সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। সে ভাবে, আনন্দী আরও বড় কোনো চাল চেলেছে এবং তার পরিকল্পনা ফাঁস হবে না। কিন্তু আনন্দীর এই অভিনব কৌশলে চৈতি তার দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হয়।

এই ঘটনার পর, আদি বাড়িতে ফিরে এসে আনন্দীকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু আনন্দী জানায়, সে সত্যি প্রমাণ না করে কোথাও যাবে না। আনন্দী সেই বাবার সামনে চৈতিকে ফাঁসানোর চেষ্টায় সফল হয়। শেষ পর্যন্ত চৈতি স্বীকার করে, সে নিজেই আনন্দীর ড্রিংকে অ্যালকোহল মিশিয়েছিল। এই কথা শুনে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায় এবং আনন্দীর প্রতি তাদের বিশ্বাস আরও গাঢ় হয়।

পর্বের শেষে দেখা যায়, আনন্দী তার বুদ্ধির মাধ্যমে চৈতির ষড়যন্ত্র প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। চৈতি নিজের মুখেই তার অপকর্মের কথা বলে দেয়। এখন দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, কারণ আগামী পর্বে কি ঘটবে, তা দেখার অপেক্ষায়।

TollyTales NewsDesk