জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ভালোবাসার টানে ডুয়ার্সে অনিকেত! মন্দার গুন্ডার হাত থেকে শ্যামলীকে বাঁচালো অনিকেত! বিরাট চমক কোন গোপনেতে

Kon Gopone Mon Bheseche Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Bheseche)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকে আসছে একের পর এক নতুন চমক। শ্যামলী আর অনিকেতের রসায়নও জমে উঠেছে পর্দায়। তবে তাদের ভালোবাসার পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরাজিতা। ছেলের সঙ্গে শ্যামলীকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। যদিও অপরাজিতা একা নন, প্রতি নিয়ম অপরাজিতার কানে শ্যামলীর বিরুদ্ধে বিষ ঢালছে অরুণাভ, তৃষা এবং অপলা।

তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে নতুন মোড়। ফাঁস হয়ে গেছে তিস্তার রহস্য। তিস্তাকে বাড়িতে ডেকে সকলের সামনে তিস্তার মুখ খুলে দিয়েছে তৃষা। যদিও তিস্তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল ঠাম্মি, কাকিমনি, প্রিয়া, অপ্রতিম। তিস্তার আসার পিছনে সমস্ত কারণ সকলের খুলে বলে তারা। যদিও চিরে ভেজেনি তাতে। খুব খারাপভাবে শ্যামলীকে অপমান করেন অপরাজিতা। এমনকি পাশে এসে দাঁড়ায়নি অনিকেতও। তাই অভিমানেই জোড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শ্যামলী।

কোন গোপনে মন ভেসেছে আজকের পর্ব ৪ জুন (Kon Gopone Mon Bheseche Today Episode 4 June)

অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা গাড়ির সামনে চলে আসে শ্যামলী। কিন্তু সৌভাগ্যবশত একজন ব্যক্তি এসে প্রাণ বাঁচিয়ে দেয় তার। কিন্তু বিচ্ছেদের বেদনায় বিভোর হয়ে সেই ব্যক্তিকে অনিকেত ভেবে ভুল করে শ্যামলী। শ্যামলী ভাবতে থাকে অনিকেত হয়ত সত্যিই তাকে নিতে এসেছে। কিন্তু শ্যামলীর ভ্রম কেটে যায় শীঘ্রই। সে ব্যক্তি শ্যামলীকে জিজ্ঞাসা করে তার স্বামীর ব্যাপারে। কিন্তু কোন উত্তর না দিয়েই সেখানে থেকে চলে যায় শ্যামলী।

এদিকে জোড়াবাড়িতে ঠাম্মি বারবার অনিকেতকে অনুরোধ করে বলে শ্যামলীকে ফিরিয়ে আনতে কিন্তু বাধ সাধে অপরাজিতা। সকলের কথায় বিরক্ত হয়ে নিজের ঘরে চলে যায় অনিকেত। ঘরে এসে তিস্তা ছবিটাকেও কালি দিয়ে নষ্ট করে দেয় সে। কিন্তু ছবি নষ্ট হলেই কি স্মৃতি নষ্ট হয়ে যায়? সারারাত ধরে শ্যামলীর চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি অনিকেতও। শ্যামলীর ওপর রাগ করলেও শ্যামলী ঠিক আছে কিনা, সুস্থ আছে কিনা সেই চিন্তা করতে করতেই ব্যাকুল হয়ে ওঠে অনিকেতের। পরেরদিন সকালে রোহিণীর এসে অনিকেতকে বলে শ্যামলীকে ফিরিয়ে আনতে।

জেল থেকে ফিরেই শ্যামলীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল মন্দার

অপরদিকে দেখা যায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ডুয়ার্সের সমস্ত গুন্ডাদের মেরে নিজেকে ডুয়ার্সের বাদশা বলে দাবি করে মন্দার। মন্দারকে দেখে মন্দারের পায়ের কাছে এসে বসে পড়ে শ্যামলীর দুই ভাই। মন্দার জানায় সে শ্যামলীর খোঁজ নেবে। শ্যামলীকে বিয়ে করবে সে। পরেরদিন সকালে শ্যামলী বাড়িতে ফিরতেই আদর, যত্ন করে দিদিকে ঘরে নিয়ে আসে শ্যামলীর দুই ভাই। ভাইদের এত পরিবর্তন দেখে অবাক হয়ে যায় শ্যামলীও। মন্দারের হাত থেকে শ্যামলীকে কি বাঁচাতে পারবে অনিকেত, আপনাদের কি মনে হয়?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।