জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আনন্দীর প্রতিবাদে চুপ নন্দিনী, ছোট্ট রোগীর কান্না থামাতে রাত্রিবেলা হাসপাতালে ছুটে গেল আনন্দী!

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ ( Anondi ) সমাজের অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নায়িকার সাহসী লড়াই দেখাতে বারবার নতুন মোড় আনছে। এই ধারাবাহিক শুধু বিনোদন নয়, সমাজের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছে। চরিত্রের সাহসিকতা এবং মানবিকতায় দর্শকরা প্রতিদিন নতুন কিছু প্রত্যাশা করছেন।

গতকালের পর্বে আনন্দী নন্দিনীর ষড়যন্ত্রকে ভেস্তে দেয়। মেডিনসের প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে চৈতির ছেলের দুর্নীতি ধরে ফেলে আনন্দী। তবে প্রমাণ হাতে থাকায় কেউ তাকে কিছু বলতে পারেনি। বাড়ি ফিরে আনন্দী তনুশ্রীকে জানায়, এই অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করলে আরও বড় বিপদ আসবে। সে বাড়ির অন্য দুই বউকেও প্রতিবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করে, আর সবাই একসঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেয়।

Anondi, আনন্দী, আনন্দী আজকের পর্ব, আনন্দী আজকের পর্ব ২০ ডিসেম্বর, Anondi today episode 20 December, জি বাংলা, জি বাংলা সিরিয়াল

আনন্দী ২২ ডিসেম্বর আজকের পর্ব (Anondi Today Episode 22 December)

আজকের পর্বে, শিশু ওয়ার্ডে এক ছোট্ট ছেলের সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে আনন্দী। ফুসফুসের অসুখের কারণে ছেলেটি খেলাধুলা করতে পারে না, এবং দুঃখে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আনন্দী রাতে ওয়ার্ডে থাকার অনুমতি নিয়ে মিষ্টি কথায় শিশুটির মন ভালো করে। খেলাধুলার ছলে খাবার ও ওষুধ খাইয়ে তার মানসিক শক্তি ফেরায়। শিশুটির বাবা ও কাকুমণি আনন্দীর এই মানবিকতা দেখে অভিভূত হন এবং তার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

এছাড়া, হাসপাতালের পরিবেশেও আনন্দীর সাহসিকতা স্পষ্ট হয়। সে অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য চারপাশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। বাড়িতে ফিরে আনন্দী আরও স্পষ্ট করে জানায়, অন্যায় সহ্য করলে ভবিষ্যতে নিজেদের দম বন্ধ হয়ে মরে যেতে হবে। তার কথা বাড়ির অন্য বউদের সাহস জোগায়, এবং সকলে একসঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।

আগামী পর্বে দেখা যাবে, আনন্দী নন্দিনীর নতুন ষড়যন্ত্রকে কীভাবে মোকাবিলা করে এবং হাসপাতালের শিশুদের জীবনকে আরও সুন্দর করার জন্য কী নতুন উদ্যোগ নেয়। আজকের পর্ব যেমন প্রেরণার বার্তা দিয়েছে, আগামী দিনেও দর্শকদের জন্য থাকবে আরও চমক।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।