জি বাংলার (Zee Bangla ) নতুন ধারাবাহিক “আনন্দী” ( Anondi ) ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করেছে তার চমকপ্রদ কাহিনি এবং চরিত্রের টানাপোড়েন দিয়ে। প্রথম সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় উজ্জ্বল অবস্থানে থাকায় ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা স্পষ্ট হয়েছে। ধারাবাহিকের কাহিনিতে প্রধান চরিত্র আনন্দী, তার বাবার অপারেশন, এবং সুপায়নের ষড়যন্ত্রের যে দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে, তা দর্শকদের টানটান উত্তেজনায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
গতকালের পর্বে দেখা গেছে সুপায়ন, নন্দিনীর প্ররোচনায় আনন্দীর বাবার অপারেশনের ওষুধ বদল করে দিয়েছে। এর ফলে অপারেশনের পর আনন্দীর বাবার জীবন বিপন্ন হয়ে ওঠে। অপারেশন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আনন্দীর বাবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে, এবং সেই মুহূর্তেই আদির বন্ধু তিতির বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারে। আদির সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও আনন্দীর বাবাকে আর বাঁচানো যায় না, যা পুরো পরিবারের জন্য এক মর্মান্তিক ধাক্কা হয়ে আসে।
আনন্দী আজকের পর্ব ৭ অক্টোবর (Anondi Today Episode 7 October)
আজকের পর্বে এই ঘটনার আরও গভীরতা দেখানো হয়। আদি অপারেশন সফল হয়েছে ভেবে আনন্দীকে স্বস্তি দিতে চেয়েছিল, কিন্তু বাবার মৃত্যু সংবাদ দেওয়ার সময় সে নিজেই ভেঙে পড়ে। সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে এই ঘটনা নাটকীয় হয়ে ওঠে, আর আনন্দী তার বাবার মৃত্যুতে শোকে অজ্ঞান হয়ে যায়। রকেট এবং তার গুন্ডারা হাসপাতালে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। এই সঙ্কটের পেছনে নন্দিনীর ষড়যন্ত্রের হাত রয়েছে, এবং রকেটও আদির বিরুদ্ধে রা’গে ফুঁসছে।
এরপরের দৃশ্যে দেখা যায়, বিজয়া কোনমতে আদিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে বেরিয়ে আসে। নন্দিনী এবং সুপায়ন তাদের শান্তনার আড়ালে মি’থ্যে প্রতারণা করে, এবং আনন্দীকে বাঁচানোর জন্য আদিকে নির্দেশ দেয় বিজয়া। আদির জন্য পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হয় আনন্দীকে মানসিকভাবে শক্ত রাখা, কারণ সদ্য বাবাকে হারিয়ে আনন্দী একেবারে ভেঙে পড়েছে। আদির জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে বানান নিরামিষ এই রেসিপি, লুচি বা ভাতের সঙ্গে জমে যাবে মোচার এই পদ
এখন দর্শকদের মনে একটাই প্রশ্ন, আদির এই কঠিন সময়ে আনন্দীকে কীভাবে সমর্থন করবে? নন্দিনীর ষড়যন্ত্রের জাল আরও কতদূর গড়াবে?