জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক আনন্দী (Anandi) দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে অন্বেষা ও ঋত্বিকের অসাধারণ রসায়নের মাধ্যমে। তাদের পুনর্মিলন দর্শকদের মধ্যে ভীষণ খুশির অনুভূতি তৈরি করেছে, এবং প্রত্যেক পর্বে নতুন কৌতূহল বাড়িয়ে তুলছে। সাম্প্রতিক পর্বগুলি আবেগের স্তরকে অনেকটাই তীব্র করে তুলেছে।
গত পর্বে, দর্শকরা একটি চমকপ্রদ মোড় দেখতে পান যখন সুপায়ণ ও নন্দিনী তাদের গোপন পরিকল্পনা অনুযায়ী আনন্দীর বাবাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। অপারেশন সফল হলেও ইনজেকশন দেওয়ার পর আনন্দীর বাবার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং অপারেশন থিয়েটারে তার মৃত্যু ঘটে। এই ভয়াবহ খবর শুনে আনন্দী ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে, আদি বুঝতে পারে না কীভাবে তার সাথে এমন ঘটনা ঘটল, কারণ এর আগে সে বড় বড় অপারেশন করেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন নন্দিনীর নির্দেশে রকেট ও আনন্দীর দাদা গুণ্ডাদের নিয়ে আদির উপর হামলা করে।
আজকের পর্বে, আনন্দী যখন জ্ঞান ফিরে পায়, তখন সে নিজেকে লাহিড়ী বাড়িতে পায়। সে উৎকণ্ঠিত হয়ে আদি সম্পর্কে জানতে চায়, মনে করে তার সাথে কথা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আনন্দী অস্থিরভাবে বলে যে আদি তো ভগবান, তার হাতের জাদুতে মৃত মানুষ জ্যান্ত হয়ে ওঠে। এই সব কথা শুনে নন্দিনী ও সুপায়ণ মনে মনে আনন্দিত হয়, কারণ তাদের পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
এদিকে, আদি আনন্দীকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে সে কোনও ভগবান নয়, বরং একজন সাধারণ ডাক্তার। সে তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। সে বলেছে যে অপারেশন সফল হয়েছিল, কিন্তু কীভাবে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছাল তা সে বুঝতে পারছে না। আনন্দী এই কথাগুলি শুনে নীচে নেমে আসে। সেখানে সে দরজা খুলে দেখতে পায় তার দাদা, বৌদি এবং রকেট সবাই মিলে ঝামেলা করছে। আনন্দী তাদের থামাতে চাইলেও সফল হয় না।
আরও পড়ুন: ডালে ঝোলে নয়! কাঁচা পেঁপে দিয়ে মুচমুচে পকোড়া ভাজুন এইভাবে
আদি ও বিজয়া (Bijoya) নিচে এসে তাদের জানিয়ে দেয় যে এই ঝামেলা তাদেরকেই সামলাতে হবে, কারণ বিজয়া এখন নার্সিংহোমের এমডি এবং আদি এই অপারেশনটি করেছে। তাই তাদের দুজনেরই এর দায়িত্ব রয়েছে। এই ঘটনাগুলি কি আনন্দীকে তার পরিবারের জন্য আরও বড় বিপদে ফেলবে? ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে আরও অনেক চমক অপেক্ষা করছে।