বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে যে সকল নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘সোহাগ জল’। কয়েক সপ্তাহ হয়েছে সবে এই ধারাবাহিক টিভির পর্দায় শুরু হয়েছে। দর্শকরা এই ধারাবাহিকে একটি নতুন জুটি দেখতে পাচ্ছে ‘যমুনা ঢাকি’ খ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং ‘গ্রামের রানী বীণাপাণি’ খ্যাত অভিনেতা হানি বাফনাকে।
সোহাগ জল একেবারেই নতুন ধরনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছে টিভির পর্দায়। ধারাবাহিক শুরুর প্রথমেই নায়ক শুভ্রর সাথে নায়িকা জুঁইএর বাড়ি থেকে বিয়ের ঠিক করে। সেই অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু শুভ্র জুঁইকে কিছু তেই মেনে নিতে পারছে না। এই নিয়ে এখন গল্প চলছে।
কিন্তু তারই মধ্যে শুভ্রর বৌদি তাদের সাংসারিক জীবনে আরো বেশি অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য জুঁইএর শাশুড়ি মা তাকে যে তাদের গাঁটছড়ার কাপড়টা সামলে রাখতে বলেছিল সেটা লুকিয়ে রাখে। আর গাঁটছড়া খোলার পূজার দিন সেটার খোঁজ পড়লে জুঁই তখন সেটা খুঁজে পায় না। আর তখনই শুভ্রর মা রেগে যায় এবং অমঙ্গল হওয়ার ভয় পায়।
কিন্তু জুঁই বাড়ির সকলকে বার বার বলতে থাকে যে তাদের গাঁটছড়াটা তার নিজের সুটকেসের মধ্যেই রেখেছিল। এর সাথে আবার শুভ্রর মা তাকে নিজের জামাকাপড় আলমারিতে গুছিয়ে উঠতে না পারার জন্যও কথা শোনায়। কিন্তু আসলে শুভ্রই তাকে আলমারিতে জুঁইএর জামা কাপড় রাখতে বরণ করেছে। জুঁই সব কথা বলার চেষ্টা করলেও তার কথা কেও শোনে না।
এই দৃশ্য টিভির পর্দায় দেখার পরই অনেক দর্শক বলছেন যে সেই নতুন বিয়ে হয়ে আসার পরেই নায়িকাকে কথা শোনাতে শুরু করে দিয়েছে শাশুড়ি। আবার অনেকের মত যতই অন্যরকম গল্প দাবী করুক না কেন সেই নায়ক নায়িকা বিয়ের পরে সুখে সংসার করতে পারবে না। আর শাশুড়িও বউকে একটুতেই কথা শোনাবে।
